শীতে হলুদ খাওয়ার ৩ উপকারিতা
হলুদ হলো জাদুকরী মসলাগুলোর মধ্যে অন্যতম যা আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। হলুদের আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসাবে কাজ করে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, হলুদের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এবং এটি ক্যান্সার ও আলঝাইমার প্রতিরোধ করতে পারে। শুধু তাই নয়, খাদ্যতালিকায় হলুদ যোগ করলে তা হৃদরোগের ক্ষেত্রেও উপকার করে। শীতকালে হলুদ আপনার খাবারের তালিকায় একটি দুর্দান্ত সংযোজন হতে পারে। আপনার শীতকালীন খাদ্যতালিকায় হলুদ যোগ করার কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শারীরিক ব্যাধি দূরে রাখে
হলুদ একটি ভেষজ উপাদান যা সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। এটি শীতকালীন সাইনাস, জয়েন্টে ব্যথা, বদহজম, সর্দি এবং কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাত্ক্ষণিক উপশমের জন্য, দুধ এবং চায়ের মতো পানীয়তেও এক চিমটি হলুদ যোগ করতে পারেন। প্রতিদিন হলুদ খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
টক্সিন দূর করে
শীতের সময়ে আমরা মজার মজার খাবার খেতে পছন্দ করি। বছরের শেষ সময় বলে অনেকে ছুটি কাটাতে বেড়িয়েও পড়েন। এসময় খাবারের ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্ক থাকা হয় না। যে কারণে শরীরে অজান্তেই জমতে পারে টক্সিন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন। হলুদ একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ভেতর থেকে উপকার করে। কঠোর শীত থেকে বাঁচতে আমাদের অবশ্যই চর্বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এসময় আমরা এমন সব গরম পানীয়ও গ্রহণ করি যা প্রশান্তিদায়ক হলেও পরিপাকতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করতে পারে। আপনি যদি খাবারে হলুদ যোগ করেন তবে তা স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি হজমে সাহায্য করে। হলুদযুক্ত খাবার খেলে তা আপনার শরীরকে টক্সিন থেকে মুক্তি দেয়। সেইসঙ্গে আপনার ত্বকে স্বাস্থ্যকর আভা দেয়।
মৌসুমী ফ্লু দূরে রাখে
শীতের শুরুতে মৌসুমী ফ্লুর সূচনা হয়। এই মৌসুমে আমাদের দেশের বেশিরভাগ পরিবারে হলুদ দুধ হলো প্রাকৃতিক ওষুধ। অনেক গর্ভবতী নারীও হালকা ফ্লুতে হলুদ দুধ পান করে থাকেন। হলুদ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
হলুদ সারা বছরই পাওয়া যায়। এটি শুধুমাত্র একটি ভালো মসলাই নয় বরং একটি নিরাময়কারীও। মসলা হিসেবে হলুদের ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ কারণ এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং আলঝেইমারের চিকিত্সার জন্যও পরিচিত।