যেভাবে সবজি কাটলে সঠিক পুষ্টি পাবেন
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কোনো না কোনো সবজি থাকা জরুরি। মাছ-মাংস যতই খান, সবজিও রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। কারণ সবজি খেলে যেসব পুষ্টি পাবেন, মাছ-মাংসে তা মিলবে না। প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে মাংস খেতে পারেন। এদিকে মাছ খেলে প্রোটিন তো পাবেনই, সেইসঙ্গে পূরণ হবে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা।
আমাদের শরীরের শক্তি বাড়াতে প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড জরুরি। তবে অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে চাইলে এসব উপাদানের পাশাপাশি ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে। এসব উপকারী উপাদান পাবেন বিভিন্ন ধরনের সবজিতে। তাই মাছ-মাংসের পাশাপাশি প্রতিদিন খেতে হবে সবজিও।
বিজ্ঞাপন
এমনও হতে পারে, আপনি প্রতিদিন সবজি খাওয়ার পরেও তার সঠিক পুষ্টি পাচ্ছেন না। এর কারণ কী? এক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি, সবজি শুধু খেলেই হবে না, পুষ্টিগুণ বজায় রাখার জন্য কাটা এবং রান্নার সময়ও খেয়াল রাখা জরুরি। এই দুই দিকে খেয়াল না রাখলে সবজি খেলেও মিলবে না উপকার। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সবজি খাওয়ার সঠিক নিয়ম-
কাটার পরে আর ধোওয়া যাবে না
খোসা ছাড়ানোর আগে সবজি ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। তাতে সবজিতে লেগে থাকা ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে সবজিতে থাকা ওয়াটার সল্যুবল ভিটামিনের ক্ষমতা। আর যদি আপনি সবজির খোসা ছাড়ানোর পরে ধুয়ে নেন তাহলে কী হবে? এরকমটা হলে ধুয়ে যাবে সব ভিটামিন। এর ফলে পাবেন না কোনো উপকার। তাই সবজি যা ধোওয়ার, খোসা ছাড়ানোর আগেই ধুয়ে নেবেন।
ধারালো বটি বা ছুরি দিয়ে কাটবেন
অনেকের সবজি কাটার বটি বা ছুরি ভোঁতা হয়ে যায়। তারা সেটি দিয়েই দিনের পর দিন সবজি কেটে থাকেন। এতে কী হয় জানেন? প্রথমত সবজি ঠিকভাবে কাটা যায় না, দ্বিতীয়ত সবজিতে থাকা অনেকগুলো উপকারী উপাদান নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। আর আপনি যদি ধারালো কোনো বটি বা ছুরি ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে এমনটি ঘটার ভয় থাকে না। সেইসঙ্গে সবজিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও কমে। সবজি কাটার পর বটি বা ছুরি ধুয়ে রাখবেন। নয়তো সেখানে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে।
সবজি কাটুন ডুমো ডুমো করে
সবজি কখনো ছোট ছোট টুকরা করে কাটবেন না। এতে সবজির আর্দ্রতা দ্রুত কমে যাবে। সেইসঙ্গে কমবে এর পুষ্টিগুণও। এক্ষেত্রে আপনাকে সবজি কাটতে হবে মোটা মোটা টুকরা করে। এতে সবজিতে থাকা সব পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে। ফলে উপকার পাবেন শতভাগ।
সবজির খোসাও পুষ্টিকর
শসা কিংবা আলুর খোসা ছাড়ানোর দরকার নেই। এগুলো খোসাসহই রান্না করুন। এসব সবজির খোসায় প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। তাই এ সবজিগুলো খোসাসহ খেলে উপকার পাবেন অনেক বেশি। একান্তই যদি খোসা ছাড়াতে হয় তবে মোটা করে ছাড়াবেন না, যতটা সম্ভব পাতলা করে ছাড়াবেন।