দাড়ির যত্ন নেবেন যেভাবে
সাজগোজ কিংবা নিজেকে সুন্দর দেখানো প্রতিযোগিতায় পুরুষের তুলনায় নারী এগিয়ে থাকে স্বাভাবিকভাবেই। তাই বলে পুরুষ যে নিজের প্রতি একেবারেই উদাসীন তা কিন্তু নয়। নারীর সমান না হোক, কিছুটা হলেও নিজের প্রতি যত্নশীল হতে শিখেছেন তারা। একটা সময় পুরুষকে বেশি স্মার্ট লাগতো ক্লিন শেভ থাকলেই। কিন্তু এখন আর সেই চল নেই। ফ্যাশনের পরিবর্তনে এখন দাড়ি রাখলেই পুরুষকে বেশি স্মার্ট লাগে।
এখনকার তরুণেরা দাড়ি রেখেই বেশ স্বচ্ছন্দ। ইউএসএ- এর এক জরিপের দেখা যায়, ক্লিন শেভড পুরুষের তুলনায় দাড়ি আছে এমন পুরুষের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ বেশি থাকে। নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য শুধু দাড়ি রাখলেই হবে না, নিতে হবে সঠিক যত্নও।
বিজ্ঞাপন
বিচলিত হবেন না
দাড়ি কিন্তু চুলের মতো এত দ্রুত লম্বা হয় না। তাই দাড়ি লম্বা করতে এবং সঠিক মাপে আনতে চাইলে বিচলিত হওয়া যাবে না। ধৈর্য ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সম্পন্ন হয় না। মনের মতো দাড়ির শেপ চাইলে সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। শরীরচর্চা, বিশ্রাম, খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ইত্যাদি ভালো অভ্যাস করতে হবে।
সঠিক খাবার খান
আপনি প্রতিদিনের খাবারে কী খাচ্ছেন তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করে। আপনার স্বাস্থ্য, চুল, দাড়ি ইত্যাদির ওপরে প্রভাব পেলে প্রতিদিনের খাবার। তাই সুন্দর দাড়ি পেতে প্রতিদিনের খাবারের দিকে নজর দিন। খেতে হবে প্রোটিন ও ভিটামিনযুক্ত খাবার। ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম, দুধ, সবুজ শাক-সবজি রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। এড়িয়ে চলুন জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার।
দাড়ি পরিষ্কার রাখুন
দাড়িও চুলের মতো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। দাড়ি বড় হলে তার প্রতি আরেকটু বেশি খেয়াল দিতে হবে। ত্বকের মৃত কোষ দাড়িতে জমা হয়ে ব়্যাশের সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন দাড়ি পরিষ্কার করা জরুরি। দাড়ি পরিষ্কার করার জন্য সালফেটমুক্ত মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
নিয়মিত আঁচড়ান
চুল যেভাবে নিয়মিত আঁচড়ান, দাঁড়ির ক্ষেত্রেও তাই করুন। নিয়মিত দাড়ি আঁচড়ালে তা কেবল জট পড়া থেকেই দূরে রাখে না, সেইসঙ্গে দাড়ির শেপ ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। দাড়ি আঁচড়ানোর জন্য ছোট চিরুনি ব্যবহার করাই ভালো
কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
এতদিন চুলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহারের কথা শুনে এসেছেন। এটি করতে হবে দাড়ির ক্ষেত্রেও। দাড়িতে শ্যাম্পু ব্যবহারের পর তা ধুয়ে নিয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি কয়েক মিনিট রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। দাড়ি নরম তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন। গায়ে ব্যবহার করার সাবান দিয়ে কখনো দাড়ি পরিষ্কার করবেন না।
ময়েশ্চারাইজ করুন
কন্ডিশনার ব্যবহারের পর দাড়ি ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। দাড়ির যত্ন নেওয়ার নানা ধরনের উপকরণ পাওয়া যায়। সেসব আপনার দাড়ি ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে। এতে ত্বকের চুলকানি প্রতিরোধ হয় ও ত্বক আর্দ্র থাকে। ত্বক ও দাড়ি কোমল রাখতে নারিকেল তেল, ভিটামিন-ই সমৃদ্ধি তেল, অলিভ অয়েল, বেবি অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।