শীতের প্রস্তুতি: যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
দিনে গরম থাকলেও শেষ রাতের দিকে শীত তার উপস্থিতি জানান দিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতিতে একটু একটু করে বইতে শুরু করেছে পরিবর্তনের হাওয়া। ঝরা পাতার দিন শুরু হলো বলে! শীতের সৌন্দর্য, পিঠাপুলি যতই মধুর মনে হোক না কেন এটি আমাদের সঙ্গে কিছু নিষ্ঠুর আচরণও করে থাকে। ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অসুখ বেঁধে যাওয়ার ভয় থাকে।
শীত আসার আগেই শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হয়। কারণ শীতের দিনগুলো বছরের অন্যান্য সময়ের মতো নয়। এসময় শীতের পোশাক, কাঁথা-কম্বল থেকে শুরু করে ত্বকের পরিচর্যার উপাদান- দরকার পড়ে অনেককিছুর। প্রস্তুতি ঠিকঠাকভাবে নিতে পারলে শীতেও সুস্থ ও সুন্দর থাকা কঠিন কিছু নয়। জেনে নিন শীতের আগে কোন প্রস্তুতিগুলো নিয়ে রাখবেন-
বিজ্ঞাপন
প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখুন
শীত আসার আগেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করে আমাদের ত্বকে। চামড়ার উপরিভাগ ফেটে যায়, ফাটে ঠোঁটও। এসময় ত্বকে রুক্ষভাব দেখা দেয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে শীতের আগে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখা দরকার। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, স্নো, পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, লিপজেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল ইত্যাদি কিনে হাতের কাছে রাখুন।
শীতের পোশাক
শীতের প্রস্তুতির একটি বড় অংশ হলো শীতের পোশাক পরিষ্কার করা। কারণ সারা বছর ব্যবহার না করার কারণে তাতে নানা ধরনের জীবাণু জন্ম নিতে পারে। তাই শীত শেষে গুছিয়ে রাখার সময় ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখলেও শীতের শুরুতে আরেকবার ধুয়ে নিন। যেহেতু শীতের শুরু কদিন পরেই তাই এখনই তুলে রাখা শীতের পোশাক ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। প্রয়োজন হলে শীতের পোশাক যেমন সোয়েটার, কার্ডিগান, জ্যাকেট, স্যুট, প্যান্ট, মাফলার, মোজা, কানটুপি ইত্যাদি কিনে রাখুন।
অসুখ থাকুক দূরে
শীত এলে তার হাত ধরে আসে নানা অসুখ। এসময় ঠান্ডাজনিত জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে। এসব অসুখ থেকে দূরে থাকার জন্য নিতে হবে প্রস্তুতি। এসম তরল ও গরম জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। প্রতিদিন চা, হালকা গরম পানি, আদা, লেবু, মধু ইত্যাদি রাখবেন খাবারের তালিকায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও এককোয়া রসুন মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। এসময় ঠান্ডা পানিতে গোসল করলেও ঠান্ডাজনিত নানা অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই গোসলের পানি হালকা গরম থাকাই ভালো।
ঘর পরিষ্কার
শীতের সময় ধুলোবালির পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। এসময় শুষ্ক আবহাওয়া এর বড় কারণ। এই ধুলোবালির কারণে বাড়িঘর অপরিষ্কার হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ধুলোবালির মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে দেখা দিতে পারে অসুখও। তাই এসময় বাড়িঘর পরিষ্কার রাখাও সমান জরুরি। ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা লাগাতে পারেন তাতে ঘরে ধুলোবালি কম প্রবেশ করবে। বাড়ির মেঝে, আসবাব, কার্পেট সব নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
আরও কিছু টুকিটাকি
নতুন করে যদি কম্বল, কাঁথা, লেপ, তোষক, জাজিম, বালিশ, চাদর ইত্যাদি কেনার দরকার পড়ে তবে এখনই কিনে ফেলুন। সেইসঙ্গে অনেকের গরম পানির জন্য গিজার প্রয়োজন হতে পারে, মেঝেতে বিছানোর জন্য ম্যাট কিংবা কার্পেট দরকার হতে পারে। গরম পানি রাখার জন্য ফ্লাস্ক, পানি গরম করার জন্য ওয়াটার হিটার, ইলেক্ট্রিক কেটলির দরকার হলে কিনে নিন।