মা এবং স্ত্রীর মধ্যে ব্যালান্স রাখবেন যেভাবে
মা এবং স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দরভাবে ব্যালান্স করতে গিয়ে হিমশিম খান বেশিরভাগ পুরুষ। তারা পড়ে যান দোটানায়। কে ঠিক, কে ভুল, কী বললে সম্পর্ক সুন্দর থাকবে এসব নিয়ে ভুগতে থাকেন দুশ্চিন্তায়। যদি আপনা মা ও স্ত্রী একই মতের হন তাহলে আপনি সৌভাগ্যবান। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যদি তাদের মতের অমিল হয় এবং আপনি দুজনের মাঝে আটকে যান তবে আপনার জন্য রইলো কিছু টিপস-
দুজনেই সঠিক
বিজ্ঞাপন
আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে যে উভয়ের নিজস্ব যুক্তিযুক্ত যুক্তি রয়েছে। তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং বিয়ের পরে আপনাকে বুঝতে হবে যে অগ্রাধিকারগুলো পরিবর্তিত হয়। এটি তাদের ভুল নয় কারণ একজন জন্মের পর থেকেই আপনার যত্ন নিয়েছেন এবং অপরজন সংসার সুন্দর করতে এবং আপনার ভবিষ্যতের যত্ন নিতে তার নিজের বাড়ি ছেড়ে এসেছেন।
রান্নাঘর দিয়ে শুরু করুন
এটি অনেকের কাছে হাস্যকর শোনায় কিন্তু সত্যি হলো সবই রান্নাঘর দিয়ে শুরু হয়। নারীরা তার রান্নাঘরের ক্ষেত্রে খুব অধিকার সচেতন। আপনার যদি যৌথ পরিবার হয় তবে এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে। সুতরাং বাড়ির নারী সদস্যদের নিয়ে বসুন এবং এটি কীভাবে পরিচালনা করা যায় সে সম্পর্কে একটি চার্ট তৈরি করুন। যদি দুজনেই রান্নার দায়িত্ব নিতে সম্মত না হন তবে তা তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। এক্ষেত্রে সমাধানের জন্য একজন রাঁধুনী রাখতে পারেন। যেভাবেই হোক, বিষয়গুলো ঝুলিয়ে না রেখে সমাধান করুন। যদি তাদের দুজনের পছন্দের খাবার আলাদা আলাদা হয় তবে সপ্তাহের দিনগুলো ভাগ করে নিতে পারেন। কোনোদিন একজনের পছন্দের খাবার রান্না হলে অন্যদিন আরেকজনের পছন্দের খাবার রান্না করা হবে। সংসারে শান্তি বজায় রাখার জন্য কিছু নিয়ম ঠিক করে দেওয়াই ভালো। সেইসঙ্গে একে অন্যকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন।
অভিযোগে উৎসাহ দেবেন না
সব সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে মিস কমিউনিকেশন। প্রতিদিন একে অপরের প্রতি ঘৃণা বাড়ানোর পরিবর্তে, তাদের জিজ্ঞাসা করুন বা একে অপরকে তাদের মতামত জানান। তাদের মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর করার চেষ্টা করুন। একজন হয়তো যা বলতে চেয়েছে তা বুঝিয়ে বলতে পারেনি, তখন অপরজন তাকে ভুল বুঝছেন। তারা একে অপরের সম্পর্কে অভিযোগ দিলে তাতে উৎসাহ না দিয়ে বুঝিয়ে বলুন। তাদের নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি কথা বলতে উৎসাহী করুন।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন
একজন বুদ্ধিমান পুরুষ কখনোই মায়ের সামনে স্ত্রীকে কিংবা স্ত্রীর সামনে মাকে আঘাত করে কথা বলেন না। নিজের জীবনের এই দুই নারী তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকেন। কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যা হলে তাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলুন এবং যথেষ্ট সম্মান দেখান। কোনো ঘটনার পর আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তার ওপর কিন্তু অনেককিছু নির্ভর করে।
দুজনকেই সময় দিন
ছেলে বা স্বামীর সঙ্গে গল্প করতে না পারলে বা সময় কাটাতে না পারলে তা নারীর ভেতর এক ধরনের হতাশা তৈরি করতে পারে। এটি মাঝে মাঝে ক্ষোভ আকারে বেরিয়ে আসতে পারে। তাই এই দুই গুরুত্বপূর্ণ নারীর জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন। মাসে অন্তত একবার হলেও তাদের নিয়ে বেড়াতে যান যেখানে যেতে তারা পছন্দ করে। চাইলে আলাদা আলাদাও বেড়িয়ে আনতে পারেন। আপনি যদি স্ত্রীকে শপিং করে দেন, তবে মাকেও শপিংয়ের জন্য বলুন। এভাবে চললে সম্পর্কে ব্যালান্স রেখে চলা খুব বেশি কষ্টকর হবে না। দুজনের কেউ যদি অন্যায্য কথা বলেন, আপনি কখনোই তাকে সমর্থন করবেন না। বরং ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে