যে ৩ উপায়ে ডিম খেলে ওজন কমবে দ্রুত
ওজন বাড়ানোর প্রসঙ্গ এলে ডিমের নাম থাকে তালিকার শুরুতেই। তাই বলে ওজন কমাতেও ডিম? যারা ওজন কমাতে চান তাদের কাছে ডিম মানেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়। আর এ কারণেই তারা ডিম থেকে দূরে থাকতে চান। কেউ কেউ শুধু সাদা অংশ খেলেও বাদ দেন কুসুম। এভাবে কি ওজন কমানো সম্ভব হয়?
ডিমে প্রোটিনসহ যেসব পুষ্টি উপাদান থাকে সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনি যদি খাবারের তালিকা থেকে ডিম বাদ দেন তবে শরীর সেসব পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে। তাই ডিম পুরোপুরি বাদ দেওয়া চলবে না। নিয়মিত ডিম খেয়েও কমাতে পারবেন ওজন। সেজন্য ডিম খেতে হবে ভিন্ন উপায়ে। যেসব উপায়ের কথা উল্লেখ করা হবে তার সবগুলোই স্বাস্থ্যকর। চেষ্টা করুন বাড়িতে তৈরি করে খেতে। এতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৩টি উপায় সম্পর্কে-
বিজ্ঞাপন
ওটমিল ও ডিম
ওজন কমানোর জন্য কার্যকরী একটি খাবার হিসেবে পরিচিত ওটমিল। এবার থেকে ওটমিলের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে খান। এই দুই উপকারী খাবার একসঙ্গে খেলে ওজন কমানো আরও সহজ হবে। ওটমিল খাবার ধীরে ধীরে হজম করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের পাচক রস ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বাধা দেয় অতিরিক্ত অ্যাসিড ক্ষরণেও। তাই আপনি ওটমিলের সঙ্গে ডিম খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। এতে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া গতিশীল হবে।
নারিকেল তেল ও ডিম
এই নারিকেল তেল মানে কিন্তু বাইরে থেকে কিনে আনা চুলে মাখার নারিকেল তেল নয়। এটি হতে হবে খাওয়ার উপযোগী। নারিকেল তেল আমাদের বিপাকক্রিয়াকে সক্রিয় করে। তাই অন্যকোনো ভোজ্য তেল বা মাখন নয়, ডিমের ওমলেট তৈরি করতে ব্যবহার করুন নারিকেল তেল। নিয়মিত এভাবে খেলে আপনার বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। সেইসঙ্গে শরীরে পৌঁছে যাবে সঠিক পুষ্টি।
পালং শাক ও ডিম
উপকারী খাবারের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে পালংশাকের নাম। এই শাকের রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। পালং শাক প্রচুর আয়রনে ভরপুর। এটি আপনাকে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখার অনুভূতি দেবে। তাই ডিমের সঙ্গে পালং শাক মিশিয়ে খান। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে বাড়তি ওজনের ভয় থাকবে না।