শিশুকে গুড টাচ-ব্যাড টাচ শেখাবেন যেভাবে
শিশুর নিরাপদে হেসে-খেলে বেড়ে ওঠার কথা, কিন্তু আমরা তাদের নিরাপদে রাখতে পারছি তো? দুঃখজনক হলেও সত্যি, যৌন নির্যাতন কিংবা যৌন হয়রানির ঘটনা শিশুর ক্ষেত্রে নতুন নয়। আর এটি যে কেবল কন্যাশিশুর ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, তা কিন্তু নয়। আপনার ছেলে শিশুও নিরাপদ নয় এই হয়রানি থেকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা এ ধরনের হয়রানির শিকার হন ‘কাছের মানুষ’ বা পরিচিত কারও দ্বারা। শিশুরা হয়তো বুঝতেও পারে না তাদের সঙ্গে কী ঘটছে। তবে এরপর বুঝতে শেখার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তাই শিশুকে অবশ্যই গুড টাচ ও ব্যাড টাচের পার্থক্য শেখাতে হবে। এ সম্পর্কে ধারণা থাকলেই শিশু নিজে থেকে সতর্ক হতে পারবে। এছাড়াও যতই পরিচিত হোক, চেষ্টা করবেন শিশুকে একা কারও কাছে না রাখার।
বিজ্ঞাপন
শিশুর আস্থা তৈরি করুন
সবার আগে শিশুর আস্থা অর্জন করুন। আপনি হয়ে উঠুন তার ভরসার জায়গা। যাতে সে যেকোনো ভালোলাগা বা মন্দলাগার কথা আপনার কাছে নির্ভয়ে বলতে পারে। শিশুকে বোঝান, তার বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করুন। তাকে গুড টাচ বা ব্যাড টাচ বোঝানোর আগে তার আস্থা অর্জন করা জরুরি।
ব্যাড টাচ সহজভাবে বোঝান
শিশুরা সরল। তারা গম্ভীর আলোচনা বুঝতে পারে না। তাই শিশুকে ব্যাড টাচ সম্পর্কে বলতে গিয়ে গম্ভীরভাবে আলোচনা করার দরকার নেই। তাহলে সে ভয় পেয়ে যেতে পারে। এটি নিয়ে আলাদা আলোচনায় বসারও দরকার নেই। প্রতিদিনের ছোট ছোট আলাপের মাঝেই বুঝিয়ে বলতে পারেন।
শরীরের সব অঙ্গ পরিচিত করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুকে অবশ্যই তার প্রাইভেট পার্ট সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। অভিভাবক হিসেবে কাজটি করতে হবে আপনাকে। তার প্রাইভেট পার্টে স্পর্শ করে কখনো আদর করবেন না। তাকে যে কেউ প্রাইভেট পার্টে হাত দিতে পারবে না শিশুর বয়স পাঁচ বছর হলে সেকথাও বুঝিয়ে বলুন।
অনুমতি নিন
সে শিশু হলেও তার থেকে অনুমতি নেওয়ার অভ্যাস করুন। এতে সে অনুমতির গুরুত্ব শিখবে। গোসল কিংবা পোশাক পরিবর্তন করানোর সময় অবশ্যই তাকে স্পর্শ করার আগে অবশ্যই তার অনুমতি নিন। এতে সে অনুমতি ছাড়া যে প্রাইভেট পার্টে হাত দেওয়া যায় না এটি বুঝতে শিখবে।
চিৎকার করতে শেখান
যেকোনো নেতিবাচক বা খারাপ আচরণ পেলে তাকে চিৎকার করতে শেখান। কারও স্পর্শ ভালো না লাগলে যেন সে সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করে। হতে পারে তা যে কারও স্পর্শ। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাকে নিজেকে রক্ষা করার বুদ্ধি শেখাতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন, এসব শেখাতে গিয়ে যেন শিশুর মনের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে।