মর্নিং সিকনেস দূর করার উপায়
ঘুম পরিপূর্ণ হলেও সকাল বেলা উঠতে গিয়ে খেয়াল করলেন প্রচণ্ড দুর্বল লাগছে। সেইসঙ্গে গোলাচ্ছে গা, মাথাও ব্যথা করছে ভীষণ। এমনকী অনেক সময় বমি পর্যন্ত হতে পারে। এরকমটা সাধারণত গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়। কারণ এসময় তাদের শরীরে হরমোনাল নানা পরিবর্তনের কারণে শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। তার সঙ্গে যোগ হয় মর্নিং সিকনেস। জেনে নিন এই সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়-
লেবু ও চা
বিজ্ঞাপন
মর্নিং সিকনেস দূর করতে ভালো কাজ করে সাইট্রাস জাতীয় গন্ধ। লেবু, কমলা ইত্যাদির গন্ধ নিতে পারেন। এছাড়া নিয়মিত ক্যামোমিল চা খেলেও মিলবে উপকার। এর পাশাপাশি খেতে পারেন পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চা। ক্যামোমিল এবং পুদিনা পাতায় রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। যা মর্নিং সিকনেস দূর করতে সাহায্য করে।
মৌরি খেতে পারেন
মর্নিং সিকনেস দূর করার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে মৌরি। বাড়িতে মৌরি রাখুন। ঘুম ভাঙার পর যদি মনে হয় যে বমি পাচ্ছে বা গা গোলাচ্ছে তবে সামান্য মৌরি মুখে দেবেন। এতে করে বমির ভাব দূর হবে অনেকটাই। সেইসঙ্গে কমবে গা গোলানোর সমস্যাও।
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে
পানিশূন্যতা আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। মর্নিং সিকনেসও এর মধ্যে অন্যতম। তাই শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখুন। আর সেজন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস করুন। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর একগ্লাস করে পানি পান করার চেষ্টা করুন। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে, সেইসঙ্গে দূর হবে মর্নিং সিকনেসও।
ছয়বেলা খাবার
খাবার খেতে হবে নিয়ম করে। কোনোভাবেই না খেয়ে থাকা চলবে না। তিলবেলার খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ছয়বেলা খেতে হবে। তবে দ্বিগুণ খাবার নয়, তিনবেলার খাবারই ভাগ করে ছয়বেলায় খান। তাতে খাবার সঠিকভাবে হজম হওয়ার সুযোগ পাবে। কমবে মর্নিং সিকনেস।
জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলুন
এখন প্রায় সবার কাছেই পছন্দের খাবার হলো নানা ধরনের জাঙ্কফুড। বাইরে বের হলেই রাস্তার ধারে বিভিন্ন দোকানে দেখা মিলবে নানা ধরনের ভাজাপোড়া খাবারের। মুখরোচক বলে সেগুলোর ক্রেতারও অভাব হয় না। কিন্তু মর্নিং সিকনেস দূর করার জন্য এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। জাঙ্কফুড এবং ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না।
কখন চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে?
গর্ভাবস্থায় মাঝে মাঝে বমি কিংবা মাথা ঘোরার ঘটনা স্বাভাবিক। এতে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু টানা বমি চলতে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এটি হতে পারে অন্য কোনো রোগের লক্ষণ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। এছাড়া শরীরে অন্যান্য অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।