আমাদের সুস্থ রাখতে এবং শরীর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন ১৩টি ভিটামিন। এই ভিটামিনের ধরন আবার দুই রকম- পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ও ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন। জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত ‘ভিটামিন কে ইনটেক অ্যান্ড অ্যাথেরোস্ক্লেরোটিক কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ইন দ্য ড্যানিশ ডায়েট ক্যান্সার অ্যান্ড হেল্থ স্টাডি’ শীর্ষক এক অধ্যয়ন ভিটামিন কে যুক্ত খাবার খেলে তা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। জেনে নিন ভিটামিন কে-র উপকারিতা সম্পর্কে-

হাড় শক্তিশালী করে

দুর্বল হাড় নানা অসুখের কারণ হতে পারে। তাই হাড় শক্তিশালী রাখা জরুরি। হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। এটি গ্রহণের ফলে হাড়ের দুর্বলতা বা ভঙ্গুরতা দেখা দেয় না। বৃদ্ধি পায় হাড়ের ঘনত্ব। ফলে অনেক অসুখ থেকেই মুক্ত থাকা যায়।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্র ভালো রাখা জরুরি। হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিলে তা হতে পারে মৃত্যুর কারণ। ভিটামিন কে আমাদের হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। মিনারেলাইজেশনে ধমনীর মধ্যে মিনারেল জমা হতে থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত এটি হতে দেখা যায়। এটি হৃদরোগের জন্য ঝুঁকির বিষয়। পর্যাপ্ত ভিটামিন কে গ্রহণ করলে কমে স্ট্রোকের আশঙ্কাও। 

রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে

শরীরের কোথাও কেটে গেলে রক্ত ঝরতে শুরু করে। এটি দ্রুত জমাট না বাঁধলে মুশকিল। এই জমাট বাঁধানোর কাজটিই করে থাকে ভিটামিন কে। এই ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই খাবারের তাকিায় প্রতিদিন ভিটামিন কে যুক্ত খাবার রাখুন।

যেসব খাবার খাবেন

ভিটামিন কে যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাক-সবজি, কেল, ব্রকোলি, পালক শাক, কিউয়ি, আভাকাডো, মুরগির মাংস, সবুজ বিনস, বেকন, ভেজিটেবল অয়েল, সয়াবিন, দুগ্ধজাত উপাদান, ডিম, ফার্মেন্টেড সয়াবিন ইত্যাদি। ১০টি পার্সলের স্প্রিঙ্গসে ৯০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে থাকে। ৩ আউন্স নাট্টো খেলে, তা থেকে ৮৫০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাওয়া যায়।

এককাপ কাঁচা পালক শাকে ভিটামিন কে থাকে ১৪৫ মাইক্রোগ্রাম। ১ টেবিল চামচ সয়াবিন তেলে ২৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে থাকে। আধাকাপ আঙুরে ১১ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাওয়া যায়। সেদ্ধ করা ডিম খেলে ৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাবেন।

এইচএন/এএ