বাড়তি লবণ খেতে গেলেই শুভাকাঙ্ক্ষি কারও না কারও বারণ শুনতে হয়ই। বেশি লবণ খাওয়া ভালো নয়, বেশি লবণ খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে এমন অনেক সতর্কবাণীই শোনান তারা। কিন্তু তাদের বোঝানো সম্ভব হয় না যে, বাড়তি লবণ যোগ না করলে আপনি খাবারের স্বাদ ঠিকভাবে পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে লবণের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন বিট লবণ। একে ব্ল্যাক সল্টও বলা হয়। এই লবণের আছে অনেক উপকারিতা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন এবং মিনারেলস। যেকোনো খাবারেই এই লবণ যোগ করে বাড়তি স্বাদ। 

আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস হালকা গরম পানিতে বিট লবণ মিশিয়ে পান করেন তবে সারাদিন অনেকটাই সহেজ অনুভব করবেন। এছাড়াও টক জাতীয় ফলের সঙ্গে এই লবণ মিশিয়ে খেতেও বেশ লাগে। ফুচকা, চটপটি বা এজাতীয় খাবারের টকপানির সঙ্গেও মেশানো হয় বিট লবণ।

হতে পারে সাধারণ বিকল্প

স্বাদের জন্য অনেকে ভাতের সঙ্গে বাড়তি লবণ যোগ করে খান। অনেক সময় মুখরোচক খাবারে লবণটা একটু বেশি দেওয়া হয়। সাধারণ লবণে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। এটি বেশি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই সাধারণ লবণ প্রতিদিন অল্প খাওয়া উচিত। যারা এই লবণ বেশি খেয়ে থাকেন তাদের শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাবারে বাড়তি লবণ যোগ করতে চাইলে সাধারণ লবণের বদলে খান বিট লবণ। কারণ এটি কম আয়োডাইজড ও কম প্রোসেসড। তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

কমায় পেট ফোলার সমস্যা

খেতে খেতে বেশি খেয়ে ফেলার অভ্যাস অনেকের। এরপর শুরু হয় হাঁসফাঁস। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেট ফুলে উঠতে পারে। কখনো আবার অ্যালার্জি থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। বিট লবণে থাকা অ্যালকালাইন প্রপার্টি পেটের অতিরিক্ত অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এটি ভালো ল্যাক্সেটিভ হিসেবেও কাজ করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, সেইসঙ্গে ইন্টেসটিনাল গ্যাসও দূর করে। লেবু ও আদার রসের সঙ্গে বিট লবণ মিশিয়ে খেলেও দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।

রক্তচলাচল নিয়ন্ত্রণ করে

শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে বিট লবণ। এটি ব্লাড ক্লটস আর কোলস্টেরলের সমস্যাও দূর করে এই লবণ। তাই প্রতিদিন পরিমিত বিট লবণ রাখুন পাতে। 

ত্বকের যত্ন নেয় এই লবণ

আমাদের ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে বিট লবণ। এটি ভালো মানের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক পরিষ্কার করে। শুষ্ক ত্বককে আর্দ্র করে তুলতে বিট লবণ বেশ কার্যকরী। এটি আমাদের পা ফাটার সমস্যা দূর করে, সেইসঙ্গে শরীরের কোথাও মোচড় লাগলে বা ফুলে গেলে সেটি সারাতেও সাহায্য করে।

এইচএন/এএ