মজার সব খাবার সামনে পেলেই পেটপুড়ে খেয়ে নেন, এদিকে ভুঁড়িও দিনদিন বেড়ে চলেছে সে খবর কি রাখেন? খাবার বেশি খেয়ে ফেললে তা ফ্যাট হিসেবে শরীরে জমতে থাকে। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। পছন্দের খাবার খেয়েও কিন্তু ভুঁড়ি কমানো সম্ভব। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-

ফ্যাট রাখুন পাতে

ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য অপকারী এমনটাই মনে করেন অনেকে। তবে ফ্যাট কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানও। ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকে। ফলে ওজন ও চর্বি নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খেতে হবে উপকারী ফ্যাট। যেমন বাদাম, আস্ত ডিম, দুধ, পিনাট বাটার, অলিভ অয়েল, তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি।

খাবারে পরিবর্তন আনুন

খাবারে একটু অদল-বদল আনতে হবে। ময়দা, কোমল পানীয়, চিনি, পাউরুটি, ভাত, মিষ্টি এসব খাবার কমিয়ে দিন যতটা সম্ভব। এর বদলে ফল, সবুজ শাক-সবজি, আটার রুটি, খোসাসহ আলু, বাদামী চাল, ছোট মাছ, দুধ, ডাল, ডিম ইত্যাদি খান।

প্রয়োজনীয় প্রোটিন খান

শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিনের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত প্রোটিন খেলে ক্ষুধা কমে, ক্যালোরি খরচ হয়। আপনার ওজন যদি পঞ্চাশ কেজি হয় তবে প্রতিদিন প্রোটিন খাবেন পঞ্চাশ গ্রাম। অর্থাৎ যতকেজি ওজন, তত গ্রাম প্রোটিন শরীরে পৌঁছানো জরুরি। প্রতি একশো গ্রাম মাছ-মাংস কিংবা ডালে বিশ গ্রাম প্রোটিন থাকে। একশো গ্রাম ডিমে থাকে বারো-তেরো গ্রাম প্রোটিন। এক লিটার দুধে থাকে চল্লিশ গ্রাম প্রোটিন। 

রাতে স্টার্চ নয়

সন্ধ্যার পর থেকে স্টার্চ জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। কারণ এই সময়টা বিশ্রামের বলে শরীরের ক্যালরি তেমন খরচ হয় না। তাই এসময় স্টার্চ জাতীয় খাবার খেলে তা শরীরে জমতে থাকে। তাই সন্ধ্যার বা রাতের খাবারে শাক-সবজি, সালাদ, স্যুপ, মাছ, মুরগির মাংস ইত্যাদি খান।

আগেভাগে রাতের খাবার

রাতের খাবার দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতের খাবার খেয়ে নেবেন। সবচেয়ে ভালো হয় সন্ধ্যাবেলায় রাতের খাবার খেতে পারলে। তা সম্ভব না হলে আটটার মধ্যে খাবার খেয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। খাওয়ার পরপরই শুতে না গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন।

সঠিক রুটিন

প্রতিদিন চেষ্টা করুন একই সময়ে খাওয়ার। একদম পেট ভরে খাবেন না। কিছুটা ক্ষুধা থাকতেই খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। দিনে তিনবার মূল খাবারের মাঝখানে দুপুর ও বিকেলে হালকা নাস্তা, কিছু ফলমূল খেতে পারেন।

একটানা বসে থাকা নয়

টানা বসে থাকলেও কিন্তু শরীরে ফ্যাট জমতে থাকে। তাই টানা বসে থাকবেন না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে শরীরে ফ্যাট জমতে পারবে না সহজে। সেইসঙ্গে নিজেকে অনেকটাই ফুরফুরে মনে হবে।

এইচএন