মধু যেসব কাজে ব্যবহার করা যায়
মধুর উপকারিতাও এর স্বাদের মতোই মিষ্টি। নানারকম অসুখ থেকে দূরে রাখে এই মধু। তবে সেজন্য খাঁটি মধু চিনে কিনতে হবে। কারণ মধু খাঁটি না হলে উপকারিতার বদলে মিলবে অপকারিতা। অন্যদিকে বাজারে যেসব মধু কিনতে পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই খাঁটি নয়। তাই মধু কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। পাহাড়ে বা বনে বেড়াতে গেলে সেখানকার স্থানীয়দের কাছ থেকে খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে পারেন। মধু আমাদের শরীরের নানা উপকার করে, পাশাপাশি আরও অনেক কাজে লাগে। চলুন তবে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
বিজ্ঞাপন
দূর করে সর্দি-কাশি
সর্দি-কাশি দূর করতে মধুর ব্যবহার বেশ পুরোনো। ঠান্ডা লাগা, গলা খুসখুস করা কিংবা শুষ্ক কাশি দূর করতে কাজে লাগে মধু। চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে ঠান্ডার সমস্যা দূর হয়। মধু ছাড়াও গরম টক যেকোনো পানীয় গলায় জমে থাকা কফ বের করে দিতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা বেশ জরুরি। কারণ ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে চেহারায়। আর ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে মধু বেশ কার্যকরী। উপকার পেতে ফেসপ্যাকের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এছাড়াও ময়দা, দুধ ও সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে বডি স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক হবে আরও বেশি সুন্দর।
কোথাও পুড়ে গেলে
রাঁধতে গিয়ে হঠাৎ হাত পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা তো ঘটেই! এরকম সমস্যায় কাজে লাগতে পারে মধু। কারণ পোড়া ঘাঁ সারাতে মধু বেশ কার্যকরী। পোড়া ত্বকের উপর মধু ব্যবহার করলে সেই ক্ষত দ্রুত শুকায়। সবচেয়ে ভালো হয় আক্রান্ত জায়গায় মধু ব্যবহার করে তার উপর গজ কাপড় জড়িয়ে রাখলে। তবে একইভাবে রেখে দেবেন না। দিনে তিন-চার বার পরিবর্তন করবেন।
ব্রণ দূর করবে মধু
ত্বকে ব্রণের সমস্যা নেই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না সম্ভবত। আপনিও যদি এমন সমস্যার ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তবে মধুর ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণের উপরে মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে বেশ দ্রুত ব্রণ দূর হবে, সেইসঙ্গে দূর হবে দাগ-ছোপও। রূপচর্চার নানা উপাদানের সঙ্গেও মধু রাখতে পারেন।
অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার
মধু কিন্তু অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে থাকে। হঠাৎ কোথাও কেটে-ছড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানটাতে মধু লাগাতে পারেন। এটি জ্বালাভাব দূর করবে, দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে। মধুর আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এটি যেকোনো ক্ষত বেশ দ্রুত সারায়।
এইচএন/এএ