রাতে শিশুরা ঘুমায় না, এই অভিযোগ প্রায় প্রতিটি মা-বাবার। দিনের পর দিন না ঘুমানোর ফলে শিশুর মধ্যে দেখা দেয় নানা ধরনের জটিলতা। বিশেষ করে অল্পতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলা এর মধ্যে অন্যতম। অপরদিকে বাড়ির পুষ্টিকর খাবার, যা শরীরের পক্ষে উপকারী, তার বদলে শিশুরা বেশি বাইরের খাবার খেতে চাইছে। আপনিও দিশাহারা, কী খাওয়াবেন! এই সব কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘুম। ঘুম যাতে ঠিক মতো হয়, তার জন্য প্রতি দিন বাচ্চাকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ানো জরুরি।

নিয়মিত ডিম খাওয়ান

খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ডিম রাখুন। ডিম সিদ্ধ বা অমলেট শিশুকে ভাত ও রুটির সঙ্গে খাওয়ান। কারণ ডিমে রয়েছে ট্রিপ্টোফ্যান নাম এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই সেরোটোনিনের ফলে ঘুম গভীর হয়। এ ছাড়া ডিমের মতো পুষ্টিকর প্রোটিন প্রতি দিন খাদ্যতালিকায় রাখলে বাচ্চার শারীরিক বিকাশ হবে।

দুধের বিকল্প নেই

বাচ্চাদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি দরকার। এটি আসবে নিয়মিত দুধ পানে। দুধ এমনি খেতে ভাল না বাসলে কোনও হেল্‌থ ড্রিংকের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। ঘুমোনোর আগে গরম দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। বয়স কম হোক বা বেশি সকলেই ভাল ঘুমের জন্য রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধ খেতে পারেন। দুধেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান থাকায়, তা সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সহায়তা করে। এর ফলে ঘুম গভীর হয়।

মিষ্টি জাতীয় খাবার

শিশুদের এমনিতেই মিষ্টি জিনিস খেতে পছন্দ করে। তাই ওদের খেজুর খাওয়াতে পারেন। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি-৬, এগুলি ভাল ঘুমের পক্ষে সহায়ক। প্রতি দিন ৪-৫টি করে খেজুর বাচ্চাকে খাওয়ান, ঘুম ভাল হবে।

খাদ্য তালিকায় ফল রাখুন

সকালের খাদ্য তালিকায় ফল রাখুন। সবচেয়ে ভাল হয় কলা রাখলে। কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান, যা নিয়মিত বাচ্চার খাওয়া খুবই জরুরি। ট্রিপ্টোফ্যানের পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। ফলে কলা খেলে ঘুম ভালো হয়।

খাওয়াতে পারেন ছোলা

অন্যান্য খাবারের সঙ্গে শিশুকে ছোলাও খাওয়াতে পারেন। ছোলাতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬ ও ট্রিপ্টোফ্যান, ফলে এটি সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। মুড়ির সঙ্গে ছোলা খাওয়ান। কিংবা ছোলাসেদ্ধও একটু পেঁয়াজ দিয়ে মেখে দিলে মুখরোচক খেতে হবে।