তৈলাক্ত ত্বকের মতোই আরেক সমস্যার নাম হলো শুষ্ক ত্বক। আমাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করে। ত্বকের ভেতরে থাকা তেলের পরিমাণ কমতে থাকে। আর এ কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এর পাশাপাশি আবহাওয়াগত কারণেও ত্বকের আদ্রর্তা হারাতে পারে। আমাদের ত্বক যদি স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে তবে খুব সহজেই দেখা দেবে বলিরেখা। এই বলিরেখা আমাদের বয়স বাড়িয়ে দেয়। অনেককেই বয়সের আগেই দেখতে বয়স্ক লাগে এই বলিরেখার কারণে।

ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার রয়েছে আরও কিছু কারণ। এর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করা, বারবার মুখ ধোয়া কিংবা স্ক্রাবিং করা। মুখ ধোয়ার পরে খসখসে কোনো কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছবেন না। মুখ পরিষ্কারের জন্য বেছে নিন প্রাকৃতিক ক্লিনজার। পাশাপাশি চড়া সুগন্ধযুক্ত কিংবা রংযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। আপনার যদি ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে তবে প্রিজারভেটিভযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়-

বিশেষ ক্লিনজার

এই পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার করলে মুখের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। দূর হবে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হওয়ার ভয়। সেজন্য প্রথমে মুখে মেখে নিতে হবে অলিভ অয়েল। এরপর হালকা গরম পানিতে একটি পরিষ্কার তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। সেই তোয়ালে মুখের ওপর আলতোভাবে রাখুন। তোয়ালে ঠান্ডা হয়ে গেলে সরিয়ে নিতে হবে। এরপর মুখে বাড়তি তেল লেগে থাকলে তা পরিষ্কার ও নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

ব্যবহার করুন ফলের ফেসপ্যাক

ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন ফলের ফেসপ্যাক। অলিভ অয়েলের সঙ্গে পাকা পেঁপে ও মধু মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন কিছুক্ষণের জন্য। ঠান্ডা হলে বের করে মুখে ভালোভাবে ব্যবহার করুন এই প্যাক। মুখের পাশাপাশি এটি ব্যবহার করতে পারেন হাতে ও গলায়। এভাবে মিনিট পনেরো রাখার পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার।

নারিকেল তেলের ব্যবহার

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার অন্যতম সহজ উপায় হলো নারিকেল তেলের ব্যবহার। এই তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দারুণ কার্যকরী। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকে ব্যবহার করুন নারিকেল তেল। পা ফাটার সমস্যা দূর করতেও এই তেল বেশ কার্যকরী। তবে নারিকেল তেল যেন খাঁটি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার জরুরি। প্রতিদিন গোসলের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। খাঁটি নারিকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। মুখের পাশাপাশি পুরো শরীরে ব্যবহার করতে পারেন এই ময়েশ্চারাইজার।

ঠান্ডা দুধের উপকারিতা

মাঝে মাঝেই যদি কোনো কারণ ছাড়া ত্বকে জ্বালাভাব অনুভব করে তবে বুঝতে হবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কাজ করতে পারে ঠান্ডা দুধ। পরিষ্কার তুলো ঠান্ডা দুধে ভিজিয়ে পুরো মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলেই ত্বকের আর্দ্রতা দ্রুত ফিরে আসবে।

এইচএন/এএ