মেয়েদের সবচেয়ে কমন অভিযোগ হলো- কেউ তাদের বুঝতে পারে না। অবশ্য এই দায় ছেলেরাও স্বীকার করে নিয়েছে যে, মেয়েদের মন বোঝার সাধ্য তাদের নেই। আসলেই কি নেই? মেয়েরা আসলে এমন কী চায় যে তাদের বুঝতে পারা সহজ হয় না? না-কি এই বুঝতে না পারার পেছনে ছেলেদের আগ্রহেরও অভাব রয়েছে? একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর পরস্পরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুঁড়তে থাকা সহজ। কিন্তু একে অন্যকে বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সেজন্য দু’জনের আগ্রহ কিংবা টান থাকা চাই। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অভিমানী প্রকৃতির হয়। তারা চায় না বলতেই যেন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝে যায়। মনে মনে অনেকে কল্পনার রাজ্যও গড়ে তোলে। এদিকে প্রেমিক বেচারা তার কিছুই জানতে পারে না। এরপর কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের মিল না হলেই অভিমানে গাল ফোলায় প্রেমিকা। কী ভুল হয়েছে, কী করলে ঠিক হতো সেই চিন্তায় প্রেমিকের অস্থিরতা বাড়ে। প্রেমিকের কাছে মেয়েদের চাওয়া খুব বেশি থাকে না, যদি তা সত্যিই প্রেম হয়। ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখলেই তাদের মন জয় করা সম্ভব। জেনে নিন মেয়েরা প্রেমিকের কাছে কী প্রত্যাশা করে-

সম্পর্কের স্বীকৃতি

যেকোনো সম্পর্কে স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বড় বিষয়। সম্পর্কের শুরু থেকেই বেশিরভাগ মেয়ে এই স্বীকৃতি চায়। আপাতত পরিবারে জানানো সম্ভব না হলেও মেয়েরা চায় প্রেমিক যেন তার বন্ধুদের সঙ্গে অন্তত পরিচয় করিয়ে দেয়। এতে সে অনেকটাই আস্থা খুঁজে পায়, বিশ্বাস করা সহজ হয়। আবার কাছের বন্ধুদের দেখলেও একজন মানুষ বা তার রুচি সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। এতে তাকে চেনা সহজ হয়। প্রেমিক সবার সামনে প্রেমিকা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলে মেয়েরা ভীষণ খুশি হয়।

খেয়াল রাখা

ধরুন প্রেমিক কোথাও গিয়ে ফেরার সময় ফোন করে জানতে চাইলো, প্রেমিকার কিছু চাই কি না? অর্থাৎ সেই জায়গা থেকে তার জন্য কিছু নিয়ে আসতে হবে কি না। অথবা নিজে কোথাও ভালো কিছু খেলে প্রেমিকার জন্যও অর্ডার করে পাঠিয়ে দেওয়া, এমন ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখলেই মেয়েরা খুশি হয়ে যায়। প্রেমিকটি যে ব্যস্ততার ফাঁকে তার কথা ভাবছে, এটি তার জন্য বড় পাওয়া মনে করে।

মনোযোগ

মেয়েরা প্রেমিকের কাছ থেকে মনোযোগ প্রত্যাশা করে। প্রেমিক যদি তার কথা মন দিয়ে শোনে, কোনো সমস্যায় সমাধান খুঁজে দেয়, মানসিকভাবে সমর্থন দেয় তাহলে মেয়েরা খুশি হয়। আর যদি প্রেমিক নিজের মতো ব্যস্ত থাকে, প্রেমিকার কথার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ফোন কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায় তখন বিরক্তি চলে আসে। 

সারপ্রাইজ

মুখে না বললেও একথা সত্যি যে মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে ভালোবাসে। অবশ্য সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। তবে তুলনামূক ছেলেদের থেকে বেশি মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে। খুব দামি কিছু হতে হবে তা কিন্তু নয়। চাইলে একটি চকোলেট কিংবা ফুল দিয়েও তাকে চমকে দেওয়া যায়। প্রেমিকাকে খুশি রাখতে এটুকু তো সামান্যই, নয় কি!

ধন্যবাদ জানান

মেয়েরা প্রাকৃতিকভাবেই মায়ায় জড়িয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে। প্রেমিকা হয়তো আপনার জন্য টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে উপহার কিনে দিচ্ছে, আপনাকে রেঁধে খাওয়াবে তাই ইউটিউব দেখে রান্না শিখছে, হতে পারে এমন অনেককিছুই। তাকে ধন্যবাদ দিতে কিন্তু ভুলবেন না। আপনার ছোট্ট একটি ধন্যবাদ তার জন্য বড় প্রাপ্তি হতে পারে। কারণ এতে আপনার কৃতজ্ঞতাবোধেরও প্রকাশ পাবে।

যত্ন নিন

ভালোবাসার সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব কারও একার নয়। সম্পর্ক যখন দু’জনের মধ্যকার, যত্নও নিতে হবে দু’জনকেই। যত্নে গড়ে তোলা কোনোকিছু সহজে ভাঙে না, একথা সত্যি সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। তাই ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়ে পরস্পরকে আগলে রাখুন। মেয়েরা চায় প্রিয় মানুষটি তাকে এভাবেই আগলে রাখুক। যত্নে গড়ে তুলুক ভালোবাসা। ভালোবেসে ভালোবাসার পথে এগিয়ে যান। 

এইচএন/এএ