বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি আলোচনায় থাকেন ফিটনেসের কারণেও। বিভিন্ন ধরনের যোগাসনের মাধ্যমে নিজেকে ফিট, সুস্থ ও সুন্দর রাখেন এই অভিনেত্রী। ২০১২ সালে প্রথমবার মা হন শিল্পা, জন্ম হয় ছেলে বিয়ানের। মাতৃত্ব অনুভব করতে গেলে কিছু ছাড় তো দিতেই হয়। সে সময়ে শিল্পার ওজন বেড়েছিল অনেকটাই। এরপর আবার আগের ওজনে ফিরতে তাকে করতে হয়েছে অনেকরকম কসরত। 

শিল্পা শেঠির মতে, সুস্থ থাকার জন্য শারীরিকভাবে অ্যাক্টিভ থাকা জরুরি। গর্ভধারণের পুরোটা সময় শিল্পার ওজন বেড়েছিল ৩২ কেজি। তিনি নিজের পুরো গর্ভধারণের সময়টাতে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি ওজন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু সেই ওজন বাড়তে বাড়তে ৩২ কেজিতে পৌঁছায়। সন্তান জন্মদানের পরও বাড়তে থাকে ওজন।

বাড়তি ওজন দেখার পর তিনি আগের অবস্থায় ফিরে আসার উপায় দেখছিলেন না, ছেড়ে দিয়েছিলেন আশা। প্রসব পরবর্তী ওজন সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিল্পা জানান, ফিটনেসের কারণে তার নাম-ডাক, জনপ্রিয়তা থাকলেও সন্তানের জন্মের পর পাঁচ মাস পর্যন্ত তিনি ওজন নিয়ে মোটেও ভাবেননি। বরং নিজের ও সন্তানেও সুস্থতার দিকে জোর দিয়েছেন সবার আগে। 

এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিল্পা জানিয়েছেন, গর্ভধারণের আগে তিনি অনেক কাজই অনায়াসে করতে পারতেন যা পরবর্তীতে ওজন বৃদ্ধির কারণে করতে অসমর্থ্য হয়ে পড়েন। সন্তানকে কোলে নেওয়ার জন্য নিচে ঝুঁকলে এ বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারতেন বলে জানান তিনি।

এরপর খুব অল্প সময়েই নিজের ওজন আবারও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন শিল্পা। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই নিজের পুরো শরীরকে অনেকটাই আগের রূপে ফিরিয়ে আনেন। জীবনযাপনে অনেকটা পরিবর্তন এনে এবং দক্ষ ট্রেইনারের সাহায্যে ওজন কমানো সহজ হয়েছে বলে মনে করেন শিল্পা। এসময় তিনি নিজের খাবারের তালিকায় ভারতীয় খাবার যুক্ত করেন। এর পাশাপাশি সাহায্য নেন কিছু ঘরোয়া উপায়ের। ফলে তিনি দ্রুত ফিরে পেতে থাকেন তার কাঙ্ক্ষিত ফিটনেস।

নিয়ম মেনে সপ্তাহে ৫ দিন শরীরচর্চা করতেন তিনি। এর মধ্যে ছিল কার্ডিও, স্ট্রেন্থ ট্রেনিং ও যোগাসন। সেইসঙ্গে কড়া নজর রাখেন খাবারের তালিকায়ও। ডিম, ছাঁচ, ডাল, গুড়, মাছ, সবজি, স্যুপ ও ব্রাউন সুগার ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবার রাখেন তালিকায়। ফলে তিন মাসেই ঝরিয়ে ফেলেন একুশ কেজি ওজন।

এইচএন/এএ