প্রিয় মানুষের কাছে যে ৫ বিষয় গোপন রাখবেন
সম্পর্ক মানে দু’জন মানুষের ভেতর সুন্দর বোঝাপড়া। সম্পর্কে রাগ, ঝগড়া কিংবা অভিমান অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ছোট ছোট অনেক বিষয় গড়াতে পারে বড় কোনো সমস্যায়। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে চাইলে তার যত্ন নিতে হবে। যখন-তখন যেকোনো কথা সঙ্গীকে বলে ফেলা চলবে না। দু’জনের ভালোর স্বার্থেই কিছু বিষয় গোপন রাখতে হবে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য এমন গোপনীয়তা দোষের নয়। জেনে নিন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে-
পুরনো প্রেম ভুলতে না পারলে
বিজ্ঞাপন
পুরোনো প্রেম থাকতেই পারে। বর্তমান প্রিয়জনের কাছে তার কথা বলে দেওয়াটাও দোষের কিছু না। বরং বলে দেওয়াই উত্তম, এতে সম্পর্ক স্বচ্ছ থাকে। কিন্তু আপনি যদি পুরনো প্রেমের কথা ভুলতে না পারেন, সেকথা ভুলেও বর্তমানের মানুষটাকে বলতে যাবেন না। যদি মনে পড়ে, মনেই গোপন রাখুন। আরেকটি বিষয়, প্রাক্তনের সঙ্গে বর্তমানকে তুলনা করবেন না। এতে সম্পর্কে সমস্যা বাড়ে।
পরিবার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা
সঙ্গীর মা-বাবা, আত্মীয়দের সম্মান করুন। তাদের অনেককিছুই আপনার ভালো না লাগতে পারে, অনেক কারণে তাদের ওপর রাগ করতে পারেন বা ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। তবে ভুলেও সেকথা আপনার প্রিয় মানুষটির সামনে বলতে যাবেন না। আপনজনদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই একচোখা হয়ে থাকেন। আপনি যতই যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চান, সে বুঝতে চাইবে না। তাই অশান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে তার পরিবার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলা এড়িয়ে চলুন।
কাউকে ভালোলেগে গেলে
চোখের দেখায় কাউকে ভালোলেগে গেলে বিষয়টি ভুলেও সঙ্গীকে বলবেন না। কারণ যেকোনো মানুষের জন্য এটি সাধারণ ঘটনা। হয়তো তার সঙ্গেও এমনটা ঘটে। এক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন, সম্পর্কের প্রতি দায়বদ্ধ থাকুন। প্রিয় মানুষকে যদি অন্য কাউকে ভালোলাগার কথা বলে দেন, খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি সে ভালোভাবে নেবে না।
সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা
সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন? সম্পর্কটি আদৌ টিকবে কি না সেই চিন্তা সব সময় মাথায় ঘুরতে থাকলে সঙ্গীকে তা বলতে যাবেন না। কারণ এ ধরনের আলোচনা সম্পর্ককে আরও দুর্বল করে দেয়। বরং প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা করুন। কী করলে দু’জন মিলে আরও সুন্দরভাবে জীবনযাপন করা যায় সে বিষয়ে কথা বলুন।
অতিরিক্ত কৌতুহলের কথা
প্রিয় মানুষটির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কৌতুহল কাজ করলেও বিষয়টি তার কাছে গোপন রাখবেন। তার ব্যক্তিগত কিছু জায়গা রাখুন। তার সব ধরনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেন না। তার ব্যক্তিগত ফোন যখন তখন ঘাঁটতে যাবেন না। সন্দেহবাতিক থাকলে সেই সম্পর্ক সুন্দর রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।
এইচএন/এএ