হঠাৎই কানের ভেতর ফড়ফড় শব্দ। মনে হচ্ছে যেন, কানের ভেতরে কোনো দৈত্য-দানব হেঁটে বেড়াচ্ছে। আসলে তা হচ্ছে ক্ষুদ্র একটি পিঁপড়া বা ছোট্ট কোনো পোকা। এরকম অভিজ্ঞতা কম-বেশি সবারই আছে। কানের ভেতর পিঁপড়া, এ আর এমন কী সমস্যা! এমনটা যারা বলে থাকেন, তাদের হয়তো কানে পিঁপড়া ঢোকার অভিজ্ঞতা নেই। এটি সাধারণ সমস্যা মনে হলেও আসলে বের হয়ে না আসা পর্যন্ত স্বস্তি মেলে না। 

অসাবধানতাবশত কানে পিঁপড়া বা কোনো ধরনের পোকা-মাকড় ঢুকে পড়া ভীতিকর ও কষ্টের। এছাড়াও শিশু খেলতে গিয়ে অনেক সময় নাকে বা কানে কোনোকিছু ঢোকাতে পারে। শুধু শিশু নয়, বড়দের ক্ষেত্রে অনেকে বদ অভ্যাস থাকে কানে বা নাকে খোঁচাখুঁচির। অনেকে হাতের কাছে যা পান যেমন- ম্যাচের কাঠি, কটন বাড, মুরগির পালক ইত্যাদি কান চুলকানো বা খোঁচানোর কাজে লাগান। পিঁপড়া, পোকা-মাকড় হোক কিংবা অন্য কোনো বস্তু, কানের ভেতরে কিছু গেলে তা বের করার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

কানে কী ঢুকতে পারে?

* কটন বাড বা তুলার অংশ

* ম্যাচের কাঠি, পুঁতির দানা

* পেনসিলের শীষ

* পাখির/মুরগির পালক

* শস্যদানা-চাল, ডাল, ধান, ফলের বীজ, মুড়ি, চিঁড়া

* রাবার, কাগজ, ফোম, ছোট ছোট খেলনার অংশ, ইত্যাদি

* জীবন্ত পোকামাকড় যেমন- পিঁপড়া, মশা, মাছি, আস্ত তেলাপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি।

কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে?

* কানের প্রচণ্ড অস্বস্তি হতে পারে

* কানে ব্যথা হতে পারে

* শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে

* জীবন্ত পোকা-মাকড় বিরক্তি ও ভয়ের উদ্রেক করতে পারে।

কানে পিঁপড়া বা কোনো বস্তু ঢুকলে কী করবেন?

কানে পিঁপড়া ঢোকার পরে যদি তা দ্রুত বের না করেন তাহলে সেটি মস্তিষ্কে ঢুকে যেতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেটি বের করতে হবে। শুধু পিঁপড়া নয়, কানে যেকোনো পোকা বা বস্তু ঢুকলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের করতে হবে। ঘরে বসে সম্ভব না হলে নাক, কান, গলা বা ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। কানে যদি পিঁপড়া বা জীবন্ত কোনো পোকা ঢুকে যায় তবে কানের ভেতর সামান্য অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল দিতে হবে। এতে পিঁপড়া বা অন্য কোনো পোকা থাকলে সেটি মারা যাবে। তারপর বের করতে হবে। অযথাই খোঁচাখুঁচি করতে যাবেন না, তাতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। শিশুর কানে কিছু ঢুকলে অনেক সময় সে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করতে পারে। তাই তাকে জোরাজুরি না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।

এইচএন/এএ