গুড় খাওয়ার ১০ উপকারিতা
চিনি খেতে গেলে যেমন হাজারটা বারণ শুনতে হয়, গুড়ের ক্ষেত্রে কিন্তু তা নয়। বরং গুড় খেতে উৎসাহিত করে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। আমাদের খাবারের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে গুড়ের নাম। কারণ নানা ধরনের পিঠা-পুলি কিংবা পায়েস তৈরিতে প্রয়োজন পড়ে গুড়ের। মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে উপকারী উপাদান হতে পারে গুড়।
গুড়ের আছে অনেক রকম উপকারিতা। এটি আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। গরমের দিনে শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে গুড়, যেমনটা করে থাকে তরমুজ কিংবা শসা। নিয়মিত গুড় খেলে আরও অনেক উপকারিতা মিলবে। সকালে খালি পেটে গুড় ভেজানো পানি খেলে সারাদিন সতেজ অনুভব করবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক গুড়ের আরও দশটি উপকারিতা সম্পর্কে-
বিজ্ঞাপন
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে গুড় খান নিয়মিত। কারণ উপকারী গুড় আমাদের শরীরে তাপ উত্পাদন করে। সেইসঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক রাখতে সাহায্য করে এটি।
শরীর উষ্ণ রাখে
শরীর মাঝে মাঝেই ঠান্ডা হয়ে আসে? অথবা আপনি শীতলতা একটু বেশিই অনুভব করেন? তবে এখন থেকে নিয়মিত গুড় খেতে শুরু করুন। কারণ গুড়ে আছে উচ্চ মানের ক্যালোরিফিক। এই উপাদান শরীর উষ্ণ রাখে এবং শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
ক্ষতিকর অনুজীব হ্রাস
ক্ষতিকর ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচতে গুড় খান নিয়মিত। গুড় খেলে তা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এটি ক্ষতিকর অনুজীব বৃদ্ধি হ্রাস করে আপনাকে সুস্থ রাখে।
খনিজের ঘাটতি পূরণ
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো খনিজ। এই খনিজ পাওয়া যায় গুড়ে। এতে থাকে লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম ও পটাশিয়াম। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সেইসঙ্গে দূরে রাখে সব ধরনের সংক্রমণ।
গলার সমস্যা দূর করে
গলার নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকে। ঠান্ডা লেগেও গলায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস করা এসব সমস্যা সারাতে খেতে পারেন গুড়। গুড় খেলে গলার সমস্যা দ্রুত দূর হয়।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কমায়
গলার সমস্যার মতোই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে গুড়। এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকলে আপনিও নিয়মিত গুড় খেতে পারেন। এটি কফ, বা বুকে কফ জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।
রক্ত পরিষ্কার করে
রক্ত পরিষ্কার না হলে সেখান থেকে দেখা দিতে পারে নানা অসুখ। তাই সুস্থ থাকার জন্য রক্ত পরিষ্কার রাখা জরুরি। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে গুড়। তাই রক্ত পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত গুড় খান।
হিমোগ্লবিনের মাত্রা বাড়ায়
রক্তের প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো হিমোগ্লবিন। হিমোগ্লবিনের মাত্রা কমে গেলে রক্তশূন্যতাসহ আর অনেক সমস্যা দেখা দেয়। রক্তে হিমোগ্লবিনের মাত্রা বাড়াতে চাইলে নিয়মিত গুড় খান। এটি রক্তে হিমোগ্লবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
পাকস্থলী ভালো রাখে
পাকস্থলীর সমস্যা ভুগতে না চাইলে গুড় খান। এটি যে শুধু পাকস্থলী ভালো রাখে তা কিন্তু নয়, পাশাপাশি অন্ত্র, ফুসফুস এবং খাদ্যনালীও সুস্থ রাখে। একসঙ্গে এতগুলো উপকারিতা হাতছাড়া করতে না চাইলে নিয়মিত গুড় খাওয়া শুরু করুন।
ঠান্ডায় জীবাণু থেকে বাঁচায়
ঠান্ডা ও শুষ্কতম দিনে জীবাণুর সংক্রমণের ভয় বেশি থাকে। এরকম সময়ে গুড়ের তৈরি শরবত, গুড়ে ভেজানো পানি কিংবা গুড়ের চা হতে পারে আদর্শ পানীয়। ঠান্ডায় জীবাণুদের হাত থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী একটি খাবার হলো গুড়।
এইচএন/এএ