সমবয়সীদের প্রেম বেশি টেকে কেন?
বর্তমানে সমবয়সীদের মধ্যে প্রেম কিংবা বিয়ের ঘটনা বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুল বা কলেজ থেকে পরিচয়, প্রেম এরপর তা গড়ায় বিয়ের মতো সিদ্ধান্তে। পাশাপাশি চলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই পরস্পর সম্পর্কে জানাশোনা হতে থাকে। একটা সময় মনে হয়, এই মানুষটিই আমার জন্য বেশি মানানসই। বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে গড়ানো সম্পর্কও কম নয়। দেখা যায়, তুলনামূলকভাবে সমবয়সীদের মধ্যেই প্রেম বেশি টিকে থাকে।
সমবয়সীদের প্রেমে ঝগড়াঝাটি বা মনোমালিন্য যে একদমই হয় না তা কিন্তু না। বরং এসবই সম্পর্ককে গতিশীল করে রাখে। পরস্পরের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বেশি বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হতে পারে। দিনশেষে আবার একজন অপরজনকে ছাড়া থাকা সম্ভবও হয় না। বিয়ের পরও একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তারা চালিয়ে যেতে পারে। একে অন্যের ভালো কিংবা মন্দ বেশি বুঝতে পারে। তাইতো সহজে পরস্পরের প্রতি আস্থা রাখাও সম্ভব হয়। সমবয়সীদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বেশি টিকে থাকার রয়েছে কিছু কারণ-
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি বেড়ে ওঠা
পাশাপাশি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে ওঠার আনন্দ অন্যরকম। একই পরিবেশে বেড়ে উঠলে একে অন্যের সম্পর্কে সহজেই বুঝতে পারা যায়। পরস্পরের কাছ থেকে শেখাও যায় অনেককিছু। এই চলার পথ অবশ্য সব সময় মসৃণ হবে তা কিন্তু নয়। বরং অনেকরকম উথ্থান-পতন থাকতে পারে। আর এভাবেই সমৃদ্ধ হয় অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার।
সহজে বুঝতে পারা
বয়সের ব্যবধান কম থাকায় পরস্পরের মানসিকতা সম্পর্কে ধারণা থাকে। যে কারণে একে অন্যকে বুঝতে পারা সহজ হয়। নানা বিষয় নিয়ে ছোটখাট ঝগড়া হলেও তা কিছুক্ষণ পরই আবার ঠিক হয়ে যায়। মান-অভিমান দীর্ঘ সময় ধরে চলে না। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রাখা সহজ হয়। বাড়ে নির্ভরযোগ্যতাও।
ভুল স্বীকার করার মানসিকতা
প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ভুল থাকে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া যায়। নিজের ভুল স্বীকার করার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। সমবয়সীদের মধ্যে এই মানসিকতা বেশি দেখা যায়। ভুল করলেও তা সহজে স্বীকার করে নেয় এবং ক্ষমা চায়। যে কারণে ভালোবাসা টিকে থাকে।
পরস্পরের পাশে থাকা
দু’জন একই বয়সী হওয়াতে চাহিদার ধরনটাও কাছাকাছি হয়ে থাকে। পরস্পরের চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে ধারণা থাকে। সঙ্গী ঠিক কী চাইছে তা অপরজনের বুঝতে সুবিধা হয়। প্রিয় মানুষটির স্বপ্ন পূরণ করা তখন আরও সহজ হয়। দু’জন মিলে সুন্দর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়। ছোট ছোট আনন্দ ও বেদনা মিলেমিশে হয় একাকার।
একসঙ্গে সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করে
সমবয়সী হলে একসঙ্গে সময় কাটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। একসঙ্গে আড্ডা দেওয়া, নিজের তৈরি খাবার ভাগ করে খাওয়া, পছন্দে বই কিংবা সিনেমা নিয়ে আলাপ করা- সব মিলিয়ে সম্পর্কে এক ধরনের স্বচ্ছতা থাকে। সমবয়সীদের মধ্যে সন্দেহপরায়ণতা কম থাকে। পরস্পরের হাত ধরে তারা অনেক কঠিন বাধাও জয় করে নেন।
এইচএন/এএ