আম খেলে ওজন বাড়ে, সত্যিই কি তাই?
গ্রীষ্মের সময়টাকে মধু মাস বলা হয়; কারণ বিভিন্ন রসালো ফলের মধুর স্বাদে বিভোর থাকার সময় এটি। এসময় দেখা মেলে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুর মতো রসালো সব ফলের। গরমের তীব্রতা যতই থাকুক, আমের মিষ্টি স্বাদে হৃদয় জুড়াতে বাধ্য। এই ফলের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা থাকে অনেকের। কিন্তু আম নিয়েও নানা প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে। বলা হয়ে থাকে আম খেলে ওজন বাড়ে। সত্যিই কি তাই? যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা কি তবে আম থেকে দূরে থাকবেন? জেনে নিন সত্যিটা-
বিজ্ঞাপন
আম খেলে শর্করা বাড়তে পারে?
আমে থাকে পর্যাপ্ত শর্করা। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা আম খেলেও তা একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ করে খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেলে সবচেয়ে ভালো। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি মাত্রার, ৬০ থেকে ৮৫। তাই আপনি যদি আম বেশি খান তাহলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে আম খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। এক্ষেত্রে একজন ডায়াবেটিস রোগী দিন ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম আম খেলেই যথেষ্ট। এর বেশি খেলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই একটি ছোট বা মাঝারি মাপের আম খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি অন্যান্য শর্করা জাতীয় খাবারের বদলে আম খেতে পারবেন।
আম খেলে কি সত্যিই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে?
আম খেলে শক্তি বাড়ে কারণ এতে মোটামুটি ভালো ক্যালরি থাকে। তাই আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে থাকেন সেক্ষেত্রে মানতে হবে কিছু নিয়ম। তালিকায় আম যোগ করলে বাদ দিতে হবে সেই পরিমাণ ক্যালরি যা আপনি অন্য কোনো খাবার থেকে গ্রহণ করতেন। এভাবে আম খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। আম খেলে দ্রুত পেট ভরে এবং শক্তি সঞ্চয় হয় ঠিকই কিন্তু এর হজম প্রক্রিয়াও সহজ। তাই দ্রুত শোষণ হয়ে যায়। তাই যারা ডায়েট করছেন তাদের আম খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম দিয়ে তৈরি শরবত, চাটনি, আইসক্রিম, পুডিং, কেক ইত্যাদি খেলেও মেদ বাড়ার ভয় থাকে। কারণ এতে যোগ করা থাকে অতিরিক্ত চিনি। এর বদলে শুধু আম খেলে ভয় কম থাকে।
হার্টের রোগীরা আম খেতে পারবেন?
হার্টে সমস্যা থাকলে অনেক খাবার বাদ দিতে হয় খাবারের তালিকা থেকে। এখন প্রশ্ন হলো, এমন সমস্যায় আম খাওয়া যাবে কি না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হার্টের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই কিডনির রোগ বা ডায়াবেটিস না থাকলে হার্ট ভালো রাখতে আম খাওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
এইচএন/এএ