জামের শরবত তৈরির রেসিপি
পাকা জামের মধুর রসে মুখ রঙিন করার ছড়া ছেলেবেলায় কে পড়েননি? গ্রীষ্মের মধুমাখা সব ফলের ভিড়ে অন্যতম হলো জাম। মিষ্টি ও রসালো এই ফলের দেখা মেলে এই সময়েই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জাম দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু শরবত। যা পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি সতেজ থাকতেও সহায়তা করে। জেনে নিন জামের শরবত তৈরির রেসিপি-
বিজ্ঞাপন
তৈরি করতে যা লাগবে
পাক জাম- ২ কাপ
চিনি- স্বাদমতো
ঠান্ডা পানি- পরিমাণমতো
বিট লবণ- স্বাদমতো
কাঁচা মরিচ- স্বাদমতো
লেবুর রস- ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
জাম ধুয়ে চটকে বীজ ছাড়িয়ে নিন। এবার একটি ব্লেন্ডারে বীজ ছাড়ানো জাম, পানি, চিনি, লেবুর রস, কাঁচা মরিচ ও বিট লবণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার গ্লাসে ঢেলে বরফকুচি মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
জামের উপকারিতা জেনে নিন
জাম শুধু রসালো ও সুস্বাদুই নয়, এটি নানা পুষ্টিগুণে ভরা। এতে আছে প্রচুর আয়রন। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রক্ত পরিষ্কার থাকে। রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে জাম কার্যকরী। এছাড়া জামে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ এবং সি। এতে থাকা বিভিন্ন মিনারেল আমাদের ত্বক ও চোখের জন্য ভালো। জাম পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এটি হজমে সহায়ক। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূরে রাখে এই ফল। জাম খেলে আপনার ত্বক ব্রণমুক্ত থাকবে।
জামে আছে অক্সিলিক অ্যাসিড‚ গ্যালিক অ্যাসিড‚ ম্যালিক অ্যাসিড‚ ট্যানিন‚ বেটুলিক অ্যাসিড। এসব উপকারী উপাদান ইনফেকশন দূরে রাখতে সাহায্য করে। জামে থাকা ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখে। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়ক। জামে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে দেখা দেওয়া নানা অসুখ-বিসুখ সারাতে কাজ করে জাম। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমায়, সেইসঙ্গে হৃদযন্ত্র ভালো রাখে এই ফল। ডায়াবেটিসের রোগীর জন্যও এটি উপকারী ফল।
এইচএন/এএ