নিম্ন রক্তচাপ হলে কী করবেন?
অনেকেই মনে করেন উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে নিম্ন রক্তচাপ শরীরের জন্য কম ক্ষতিকর। কিন্তু ধারণাটি সঠিক নয়। কারণ নিম্ন রক্তচাপ হলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব পড়ে। পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, স্নায়বিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন কারণে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। তাই কারও নিম্ন রক্তচাপ হলে অবহেলা না করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এসব নিয়েই আজকের আয়োজন-
স্যালাইন খেতে দিন
বিজ্ঞাপন
নিম্ন রক্তচাপের রোগীকে স্যালাইন খেতে দেওয়া উচিত। চিকিৎসকরা বলেছেন, এক গ্লাস পানিতে ২-৩ চা চামচ চিনি ও ১ চা চামচ লবণ মিশিয়ে স্যালাইন বানিয়ে রোগীকে খেতে দিলে নিম্ন রক্তচাপ ভালো হতে পারে। লবণের সোডিয়াম ও চিনির শর্করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে বাজারে প্রস্তুতকৃত স্যালাইনও দেওয়া যেতে পারে। তবে ডায়েবেটিসের রোগীদের কেবল লবণমেশানো পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন
নিম্ন রক্তচাপের রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে ঘাড়, কানের দুই পাশে এবং চোখে-মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত। এতে রোগীর দ্রুত হুঁশ ফিরে আসে। চিকিৎসকরাও নিম্ন রক্তচাপের রোগীর কাছে এমনটি করার পরামর্শ দেন।
কফি খেতে দিন
রক্তচাপ বাড়ানোর জন্য কফি গুরুত্বপূর্ণ পানীয়। নিম্ন রক্তচাপের রোগীকে কফি খেতে দেওয়া উচিত। কেননা এতে হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ও কিডনিতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।
যষ্টিমধু খেতে দিন
নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় যষ্টিমধু কার্যকরী একটি প্রতিষেধক। এটি রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। রোগীকে ১০০ গ্রামের মতো যষ্টিমধু এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিলে নিম্ন রক্তচাপ অনেকাংশে কমে যায়।
ডিম ও দুধ খেতে দিন
নিম্ন রক্তচাপের অন্যতম কারণ হলো শরীরের আমিষের চাহিদা কমে যাওয়া। ডিম ও দুধে প্রচুর আমিষ রয়েছে। তাই নিম্ন রক্তচাপ রোগীকে ডিম ও দুধ খেতে দিন।
এইচএকে/আরআর/এএ