করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের খবরে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের পর সম্প্রতি মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইয়েলো ফাঙ্গাস। 

চিকিৎসকদের অনেকেই বলছেন, করোনা মহামারির আগেও এসব ফাঙ্গাল ইনফেকশনের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষ জানতেন না। 

চিকিৎসকরা আরও বলছেন, কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এ ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য রোগ থেকেও এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে কোনো রোগের জীবাণু শরীরে থাকলেও ইয়েলো ফাঙ্গাস হতে পারে। 

ইয়েলো ফাঙ্গাসের উপসর্গ 
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের মতো আরেকটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলো ইয়েলো ফাঙ্গাস। এতে আক্রান্ত হলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এসব উপসর্গের মধ্যে রয়েছে অবসাদগ্রস্ততা, ত্বকে প্রদাহ বা জ্বালা ভাব। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকলাপে বিঘ্ন ঘটে। প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগের চিকিৎসা না করলে পরবর্তীতে জটিল আকার ধারণ করে। 

ইয়েলো ফাঙ্গাসের কারণ 
বিভিন্ন কারণে ইয়েলো ফাঙ্গাস হয়। সাধারণ কোনো রোগ থেকেও এটি হতে পারে। এতে আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলো হলো- 
১. দীর্ঘ দিন স্ট্রেরয়েড ব্যবহার। 
২. দূষিত পরিবেশে বসবাস। 
৩. সুগারের লেভেল হঠাৎ বেড়ে যাওয়া। 
৪. রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যাওয়া। 
৫. বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি। 

ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা 
চিকিৎসকরা বলেন, ইয়েলো ফাঙ্গাস থেকে বাঁচার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। আক্রান্ত ব্যক্তির বিছানা, বালিশ, তোষক ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখতে হবে। তাছাড়া রোগীর ঘরের মেঝে ভেজা রাখা যাবে না। রোগীকে বিশুদ্ধ পানি খেতে দিতে হবে। 

এইচএকে/আরআর/এএ