ক্যাস্টর তেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি মাথার ত্বককে সুরক্ষিত রাখে ও চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। ফলে ব্যাকটেরিয়া ও মাথা ব্যথার মতো আরও বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাপদ থাকা যায়। ছেলেদের রূপচর্চায় ক্যাস্টর তেলের যে ভূমিকা রয়েছে সেটি নিয়েই আজকের আয়োজন- 

চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক

প্রতিদিন ক্যাস্টর তেল মালিশ করলে দ্রুত চুল বাড়ে। একই সঙ্গে শক্তিশালীও হয়। তাছাড়া মাথার ত্বকে গরম তেল মালিশ করার উপকারিতা রয়েছে। যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তারা ক্যাস্টর তেল ব্যবহার করতে পারেন। বলা যেতে পারে, ছেলেদের ঘন চুলের এটিই মূলমন্ত্র।

ছেলেদের মানসিক চাপ কমাতেও সহায়ক এ তেল। নারিকেল, জলপাই, কাঠ বাদাম, আর্গন বা মরোক্কান তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যায়। 

ত্বকের রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার কারণে চুল পড়া, খুশকি ও চুলকানির সমস্যা হয়। এসব সমস্যার সমাধান হলো ক্যাস্টর তেল। এ তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। 

অকালে চুল পাকা সমস্যার সমাধান করে

অনেক ছেলের চুল অকালে পেকে যায়। তারা চাইলে ক্যাস্টর তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল পাকার কারণ হলো মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া। ক্যাস্টর তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। 

চুলের জটালোভাব কমায়  

অনেক ছেলের চুলে জটালোভাব সৃষ্টি হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ক্যাস্টর তেল চুলের জটালোভাব কমায়। একই সঙ্গে দূর করে রুক্ষতা। মাথার ত্বকে এ তেল মালিশ করলে চুলের গোড়া উজ্জীবিত হয় এবং চুলে মসৃণভাব আসে। ক্যাস্টর তেলে আছে অলেইক অ্যাসিড ও লিনোইক অ্যাসিড। যেগুলো চুলের ক্ষতি রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

এইচএকে/আরআর/এএ