করোনা পরিস্থিতিতে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ নতুন ফাঙ্গাল ইনফেকশন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে ভয়ে রয়েছেন। অপরদিকে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হচ্ছে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে  মিথ্যা তথ্য বিশ্বাস করে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। কখনও বলা হচ্ছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রামক রোগ। আবার কখনও বলা হচ্ছে এটি বিভিন্ন পশুর শরীর থেকে ছড়াচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকরা কী বলছেন? 

ভারতের চিকিৎসকরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সম্পর্কে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলো সঠিক নয়। কেননা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রামক রোগ নয়। কেবল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী পশুর শরীর থেকেও এ রোগ ছড়ায় না।

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএস) পরিচালক ডা. রনদিপ গুলেরিয়া বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোটেও সংক্রামক রোগ নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়েবেটিসের মাত্রা বেড়ে গেলে এ রোগ হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় স্টেরয়েড নিতে থাকলেও রোগটি হতে পারে।’ 

চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা চোখের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সময়মতো চিকিৎসা নিলে এ রোগ ভালো হয়ে যায়। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও যেসব তথ্য ছড়িয়েছে, সেসব তথ্যের অন্যতম অক্সিজেন বা হিউমিডিফায়ারের মাধ্যমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতের চিকিৎসকরা বলছেন, তথ্যটি ভিত্তিহীন। 

সম্প্রতি একাধিক করোনা রোগী সেরে ওঠার পর ব্ল্যাক ফাংগাস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ডা. রনদিপ গুলেরিয়া বলেন, মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড নিলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাছাড়া চোখ ও নাকের মাধ্যমেও এ রোগ হতে পারে। এমনকী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

এইচএকে/আরআর/এএ