করোনা মহামারি পাল্টে দিয়েছে আমাদের পরিচিত অনেক চিত্র। প্রতিদিন সকালে বাজারে গিয়ে টাটকা মাছ-মাংস কিনে আনার সময় এখন নয়। সংক্রমণ এড়াতে যতটা সম্ভব বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজেকে সুস্থ রাখতে এর বিকল্প নেই। তাই প্রতিদিন বাজারে না গিয়ে সপ্তাহে একদিন কিংবা সম্ভব হলে পনের দিন পরপর বাজার করুন। এতে কিছুটা হলেও নিরাপদ থাকতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বাজার থেকে ফিরে করতে হবে কিছু কাজ। কারণ বাজারে রোগ-জীবাণু ছড়ানোর ভয় অনেক বেশি থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাজার থেকে ফিরে কোন কাজগুলো করতে হবে-

পোশাক পরিবর্তন করুন

বাজারে যাওয়ার সময় এমন পোশাক পরে যান যেটি ফিরে এসে ধুয়ে দেওয়া যাবে। সেইসঙ্গে মাস্ক ও গ্লাভস অবশ্যই পরবেন। সম্ভব হলে পরে নিন হেয়ার ক্যাপ। বাড়ি ফেরার পর গ্লাভস পরা অবস্থায় একবার স্যানিটাইজ করে নিন। এরপর গ্লাভস খুলে আলাদা স্থানে শুকানোর ব্যবস্থা করুন। পোশাক পরিবর্তন করে সেটি হালকা গরম পানি ও অ্যান্টি সেপটিক বা ডিটারজেন্ট ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন।

আলাদা জুতা রাখুন

বাজারে পরে যাওয়ার জন্য আলাদা জুতা রাখতে পারলে ভালো। অর্থাৎ যে জুতাজোড়া পরে বাজারে যাবেন সেগুলো অন্য কোথাও পরবেন না। বাজার থেকে বাড়ি ফিরে আসার পরপরই জুতা স্যানিটাইজ করে নিতে হবে। বাইরে ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলে ধুয়ে সেখানেই রেখে দিন। ঘরের ভেতরে না রাখাই ভালো।

ফল ও সবজি জীবাণুমুক্ত করুন

পোশাক কিংবা জুতা জীবাণুমুক্ত করার পদ্ধতির সঙ্গে ফল ও সবজি জীবাণুমুক্ত করার পদ্ধতির মিল নেই। কারণ এগুলো খাওয়ার জিনিস। মেঝেতে কাগজ বিছিয়ে তার উপর ফল ও সবজি রাখার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। ফল ও সবজি কিনে আনার পর তা নিয়ে সরাসরি সিঙ্কে চলে যান। সেখানে ভালো করে ধুয়ে নিন। হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তার ভেতরে কিছুক্ষণ ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখুন। আধাঘণ্টা এভাবে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে করণীয়

অন্য সব সামগ্রী পরিষ্কারের ক্ষেত্রে প্রথমে একটি শুকনো ও পরিষ্কার কাপড়ে সামান্য স্যানিটাইজার নেবেন। এরপর সেটি দিয়ে প্যাকেটজাত সামগ্রী মুছে নেবেন। এরপর আলাদা করে রাখুন ঘণ্টাখানেক সময়। তারপর ব্যবহার করতে বাধা নেই।

আমরা যখন বাজারে যাই তখন অনেক মানুষ ও জিনিসের সংস্পর্শে যেতে হয়। যেমন ধরুন বাজার থেকে আপনি যে জিনিসটি কিনেছেন সেটি আপনার আগে আরও অনেকেই স্পর্শ করেছেন। তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার সঙ্গেসঙ্গে বাড়ি ফিরে নিজেকে ও বাজারের জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করা জরুরি। এতে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে। 

এইচএন/এএ