অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে বুঝবেন যেভাবে
সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আপনি জানেন নিশ্চয়ই। সুস্থ অন্ত্র মানে শুধু মসৃণ হজম নয়; এটি আপনাকে কর্মক্ষম এবং শক্তিশালী রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, ভারসাম্যহীন অন্ত্র হজমে সমস্যা সৃষ্টি এবং শক্তি নিঃশেষ করতে পারে। অন্ত্র নিরাময় করতে সময় এবং যত্ন লাগে, তাহলে শীঘ্রই উন্নতি লক্ষ্য করতে শুরু করবেন। কীভাবে বুঝবেন অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে? জেনে নিন-
১. পেট ফাঁপা কমে যাওয়া
বিজ্ঞাপন
সুস্থ অন্ত্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো পেট ফাঁপা কমে যাওয়া। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্যপূর্ণ হলে পেট ফাঁপা কমে যায়, যার ফলে আপনি খাবারের পরে হালকা বোধ করেন। পেট ফাঁপা কমে যাওয়ার মানে হলো আপনার হজম ভালো কাজ করছে, অতিরিক্ত গ্যাস বা অস্বস্তি ছাড়াই। এছাড়াও, যদি মুখে কম ফোলাভাব লক্ষ্য করেন তবে এটি আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষণ!
২. শক্তি বৃদ্ধি
আপনি কি জানেন যে অন্ত্রের স্বাস্থ্য আপনার শক্তির স্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত? এটা সত্যি! অ্যাডভান্সেস ইন নিউট্রিশনে ২০২৩ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, একটি সুষম অন্ত্র শক্তি অনেকটা বৃদ্ধি করতে পারে। অন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করতে পারলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করা সহজ হয়- যেমন আয়রন এবং ভিটামিন বি। এতে কাজ করতে গেলে ঝিমুনি আসে না, সারাদিন শক্তি বজায় থাকে।
আরও পড়ুন
৩. নিয়মিত মলত্যাগ
নিয়মিত মসৃণ মলত্যাগ স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের অন্যতম লক্ষণ। ২০১৫ থেকে বিএমজে ওপেন অ্যাক্সেসের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত মলত্যাগ সুষম অন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা না থাকে তবে এটি একটি লক্ষণ যে আপনার পাচনতন্ত্র ভালো কাজ করছে এবং ভালো ব্যাকটেরিয়া বিকাশ করছে।
৪. খাদ্য সংবেদনশীলতা হ্রাস
অন্ত্র নিরাময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, যে খাবারগুলো এড়িয়ে যেতেন - যেমন দুগ্ধজাত খাবার বা গ্লুটেন - সেগুলো আর আগের মতো আপনাকে বিরক্ত করছে না। এটি এই কারণে যে একটি সুস্থ অন্ত্র আপনার রক্ত প্রবাহ থেকে অবাঞ্ছিত কণাগুলোকে দূরে রাখতে কাজ করছে। যার ফলে খাবারের প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৫. পরিষ্কার ত্বক
আপনার ত্বক কি আগের থেকে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠছে? এটি অন্ত্রের সুস্থতার অন্যতম লক্ষণ। যখন অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তখন শরীরের প্রদাহ হ্রাস পায়, যার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। এতে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হয়। ব্রণের সমস্যা অনেকটাই সেরে যায়।
এইচএন