শীতে শুষ্ক ত্বক সতেজ রাখার সহজ ৫ উপায়
পারদ পতনের সঙ্গে শীত ঘনিয়ে আসে, শুষ্ক ত্বক তখন বড় সমস্যায় পরিণত হয়। ঠান্ডা বাতাস, কম আর্দ্রতা এবং অভ্যন্তরীণ উত্তাপ সবই একসঙ্গে কাজ করে আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ছিনিয়ে নিতে, এটিকে শুষ্ক, নিস্তেজ এবং কখনও কখনও ফেটে যায়।
একটি স্বাস্থ্যকর আভা বজায় রাখতে, প্রতিদিন রুটিনমাফিক আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। আর্দ্রতা-সমৃদ্ধ স্কিন কেয়ার নিলে শীতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এই শীতে শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে এখানে কিছু জরুরি টিপস দেওয়া হল।
বিজ্ঞাপন
১. একটি মৃদু, হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন
একটি হার্ড বা ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলা ভাবে দূর হয়ে যেতে পারে, আরও শুষ্ক হতে পারে। একটি মৃদু, হাইড্রেটিং ক্লিনজার বেছে নিন যা অতিরিক্ত শুকানো ছাড়াই পরিষ্কার করে। গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলি সন্ধান করুন, যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
২. পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গেই ময়শ্চারাইজ করুন
আর্দ্রতা লক করার সেরা সময়গুলোর মধ্যে একটি হলো পরিষ্কারের ঠিক পরে। যখন আপনার ত্বক কিছুটা স্যাঁতসেঁতে থাকে, তখন এটি আর্দ্রতার জন্য আরও গ্রহণযোগ্য হয়, তাই আপনার মুখ ধোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার ময়েশ্চারাইজার লাগান। অতিরিক্ত হাইড্রেশনের জন্য একটি ঘন, ক্রিম-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
৩. হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং গ্লিসারিন সিরাম ব্যবহার করুন
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং গ্লিসারিন ত্বকে আর্দ্রতা রাখার জন্য চমৎকার। আপনার ময়শ্চারাইজার প্রয়োগ করার আগে একটি হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরামের কয়েক ফোঁটা যোগ করা আপনার ত্বককে সারা দিন আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। এই উপাদানগুলো সকালে এবং রাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. বাড়িতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
ইনডোর হিটিং সিস্টেমগুলো বাতাসকে শুষ্ক করে তোলে, যা আপনার ত্বককে ডিহাইড্রেট করতে পারে। একটি হিউমিডিফায়ার বাতাসের আর্দ্রতার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, আপনার ত্বক এবং সাইনাসকে হাইড্রেটেড রাখে। আপনার শোওয়ারর সময় বা আপনার বেডরুমে একটি হিউমিডিফায়ার চালান।
৬. হট শাওয়ার এড়িয়ে চলুন
যদিও শীতল দিনে হট শাওয়ার আরামদায়ক হতে পারে, গরম জল আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলাভাব ছিনিয়ে নিতে পারে। গরম জলে স্নান করলেও তাতে বেশি সময় কাটানো এড়িয়ে চলুন। এই ছোট পরিবর্তন আর্দ্রতা হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।
এসএম