কলার গুণের কথা সবাই জানেন। এই ফল সারা বছরই পাওয়া যায়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। প্রতিদিন অন্তত একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস বেশ স্বাস্থ্যকর। আমরা অনেকেই কিন্তু কলার খোসার গুণের কথা জানি না। কলার মতোই উপকারী এর খোসাও। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, প্রচুর প্রয়োজনীয় মিনারেল, ফ্যাটি এসিড, আয়রন, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক। রূপচর্চার কাজেও এটি ব্যবহার করা যায়।

সাধারণত কলা খাওয়ার পর এর খোসা ফেলে দেওয়া হয়। কারণ এটি আর কোনো কাজে লাগে না বলেই আমাদের ধারণা। কিন্তু চাইলে রূপচর্চার কাজে এটি ব্যবহার করা যায়। কোনোরকম খরচ ছাড়াই সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে কলার খোসা ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের গভীর থেকে যত্ন নেয়। ত্বকের কালচে ছোপ, ব্রণ ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে কলার খোসা। চলুন জেনে নেওয়া যাক মুখের দাগ দূর করতে কলার খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন-


 
ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে

ব্রণ এমনই নাছোড়বান্দা সমস্যা যে নিজে শেষ হলেও দাগ রেখে যায়। ব্রণ নাহয় দূর করলেন, কিন্তু এর দাগ? ব্রণ ও ব্রণের দাগ দুটিই দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। সেজন্য প্রথমে কলার খোসা ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার দুই টেবিল চামচ কলার খোসার সঙ্গে মেশাতে হবে আধা চামচ হলুদ ও আধা চামচ মধু। এরপর ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এভাবে পনের-বিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

বলিরেখা দূর করবে

বলিরেখার কারণে অনেককেই কম বয়সে দেখতে বয়স্ক মনে হয়। নিজেকে সতেজ রাখতে চাইলে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দিতে না চাইলে বলিরেখা দূর করা জরুরি। যাদের ত্বকে বলিরেখা কেবল পড়তে শুরু করেছে তারা কলার খোসার সাহায্য নিতে পারেন। সেজন্য একটি কলার খোসা ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে একটি ডিম মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করে অপেক্ষা করুন অন্তত আধা ঘণ্টা। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে বলিরেখার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।

কালচে দাগ দূর করতে

নানা কারণেই ত্বকে কালচে দাগ পড়তে পারে। এই দাগ দূর করতে অনেকে অনেকরকম উপায় বেছে নেন। এক্ষেত্রে সহজ একটি উপায় হতে পারে কলার খোসা। সেজন্য  দুই চা চামচ টমেটোর পেস্টের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কলার খোসার পেস্ট মিশিয়ে নিন। এরপর যেখানে কালচে দাগ আছে সেখানে লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা রেখে ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।

এইচএন/এএ