স্ট্রেস, ঘুম, ব্যায়াম এবং খাদ্যের মতো জীবনযাপনের কারণগুলো সহজেই পিরিয়ডের চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। হঠাৎ ওজনের ওঠানামা, ব্যস্ততা কিংবা দৈনন্দিন অভ্যাসের ছোট পরিবর্তনই হোক না কেন, এই কারণগুলো চক্রের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। খাবারের তালিকা কিংবা স্ট্রেস পিরিয়ডের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার বদলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর চক্র বজায় রাখার একটি স্মার্ট উপায় হলো উপযুক্ত খাবার খাওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. পিরিয়ড খুবই অল্প হলে

অল্প সময়ের পিরিয়ড মানে হালকা রক্ত ​​প্রবাহ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মানসিক চাপ, কম ওজন, PCOS বা থাইরয়েড সমস্যার কারণে হতে পারে। এটি মোকাবেলা করার জন্য যা খেতে পারেন:

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: মুরগির মাংস, কলিজা, বিটরুট, মসুর ডাল এবং পালং শাক।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন অ্যাভোকাডো, বাদাম, বীজ এবং ঘি খান।

আদা: আদা রক্ত ​​​​প্রবাহকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, তাই এটি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।

২. পিরিয়ডে বিলম্ব হলে

পিরিয়ড দেরি হওয়া মানে আপনার মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট সময়সূচীর অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেছেন যে মানসিক চাপ, ওজনের ওঠানামা, PCOS বা থাইরয়েড কর্মহীনতার কারণ হতে পারে। প্রতিকার হিসাবে, ডাক্তার খাওয়ার পরামর্শ দেন:

আদা ও কাঁচা পেঁপে: আদা ও কাঁচা পেঁপের সঙ্গে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। পরের দুটি জরায়ুর পেশী সংকুচিত করে মাসিককে উদ্দীপিত করতে পারে।

৩. অনেক বেশি হলে

ভারী প্রবাহ বা দীর্ঘায়িত চক্র অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ফাইব্রয়েড বা থাইরয়েড রোগের কারণে হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন:

আয়রন ও ভিটামিন সি: আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

ভিটামিন কে খাবার: যেমন ক্রুসিফেরাস শাকসবজি, পালং শাক, কিউই রক্ত ​​জমাট বাঁধতে সহায়তা করে এবং মাসিক প্রবাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ওমেগা- ৩ খাবার: প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ওমেগা- ৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন শণের বীজ, চিয়া বীজ এবং আখরোট যোগ করুন।

এইচএন