আপনি কি জানেন, নাভিতে কিছু তেল মালিশ করলে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়? যদিও শরীরের এই অংশটির গুরুত্ব আমাদের অনেকেরই অজানা। তবে অভ্যন্তরীণ নিরাময়ের জন্য একটি শক্তিশালী পয়েন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। নির্দিষ্ট তেল দিয়ে আমাদের নাভি ম্যাসাজ করলে তা ভালো হজম থেকে শুরু করে উজ্জ্বল ত্বক পর্যন্ত অনেক উপকার করতে পারে। নাভি ম্যাসাজের জন্য সেরা কিছু তেল সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

নিমের তেল

নাভিতে ম্যাসাজ করার সময় নিমের তেল শরীরকে ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে এবং স্বাস্থ্যকর ইমিউন প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে শরীরকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী যারা ব্রণ বা একজিমার মতো ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। যেহেতু নিম তেল শক্তিশালী, তীব্রতা কমাতে এবং জ্বালা এড়াতে নারিকেল তেলের মতো কোমল তেলের সঙ্গে এটি মিশিয়ে নিতে হবে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেল অবিশ্বাস্যভাবে ময়েশ্চারাইজিং এবং ত্বকে প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলে। এটি নাভিতে ম্যাসাজ করলে তা ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং এর মিডিয়াম-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে হজমের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। নারিকেল তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, এটি সামগ্রিক সুস্থতার জন্য বেশ উপকারী।

বাদাম তেল

বাদামের তেল ভিটামিন ই দিয়ে পরিপূর্ণ, এটি ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং কোষের পুনর্জন্ম ঘটায়। নাভি ম্যাসেজে বাদাম তেল ব্যবহার করলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত হয় এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এর মৃদু, মনোরম সুবাস মনকে প্রশান্তি দেয়। বাদাম তেল মৃদু ধরনের, যা এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বেশ উপযুক্ত।

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল হজমের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি নাভিতে প্রয়োগ করলে তা পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ক্র্যাম্পিং কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর সমৃদ্ধ, পুরু টেক্সচার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে উষ্ণতা প্রদান করে যা পেটের অস্বস্তির জন্য প্রশান্তিদায়ক। ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে নাভিতে ম্যাসাজ করলে তা প্রাকৃতিকভাবে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে।

এইচএন