আপনার মন কি সব সময় চিন্তা-ভাবনায় ব্যস্ত থাকে? অফিস, বাসার কাজ সবকিছু মিলিয়ে সামলে উঠতে খুব চাপ অনুভব করেন? বর্তমান দ্রুতগতির জীবনে আমাদের মনের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়তে থাকে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পরিবর্তন করে এটা অনেকটাই সামলে নেওয়া যায়। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হয় খাবারের দিকেও। কোন খাবার খাচ্ছেন, কখন এবং কীভাবে খাচ্ছেন, সেটিও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-

১. মনোযোগ দিয়ে খাওয়া

মন দিয়ে খাওয়ার মানে হলো খাবার খাওয়ার প্রক্রিয়াটি অনুভব করতে সমস্ত শারীরিক এবং মানসিক ইন্দ্রিয় ব্যবহার করা। খাওয়ার সময় টিভি দেখলে বা অন্যকিছুতে মনোযোগ দিলে এটি সম্ভব না। তাই আপনার যদি টিভি দেখতে দেখতে কিংবা বই পড়তে পড়তে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে তা বাদ দিতে হবে।

ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন: এ ক্লিনিশিয়ানস জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে, মনোযোগ দিয়ে খাওয়া হলো অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক সংকেত, সংবেদন এবং আবেগ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার একটি সুযোগ। এটি পিএসএনএসের আধিপত্য বজায় রাখে, যা চাপ কমাতে সাহায্য করে।

২. চিনি এবং ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন, যেমন চিনি এবং ক্যাফেইন। যখন চাপ অনুভব করা হয়, তখন আপনি দুর্বল বোধ করতে পারেন। এরকম অবস্থায় চিনিযুক্ত বা উচ্চ-ক্যাফেইনযুক্ত খাবার বা পানীয় পান করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

চিলড্রেন’স হসপিটাল কলোরাডো ব্যাখ্যা করে যে, সাধারণ শর্করা এবং ক্যাফেইন আমাদের শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করে কিন্তু অল্প সময়ের জন্য। চিনি এবং ক্যাফেইনের প্রভাব কমে যাওয়ার পরে আপনি আগের চেয়ে আরও বেশি দুর্বল ও অস্থির বোধ করতে পারেন।

৩. জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা- ৩

হার্ভার্ড হেলথ জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা- ৩ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে উৎসাহিত করে যাতে স্বাভাবিকভাবেই শান্ত থাকা যায়। এগুলো আপনার উদ্বেগ কমিয়ে দিতে কাজ করবে। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ঝিনুক, কাজু, কলিজা, গরুর মাংস এবং ডিমের কুসুম। প্রাকৃতিকভাবে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি যেমন পালং শাক, বাদাম, বীজ এবং গোটা শস্য। 

২০১১ সালে মেডিকেল ছাত্রদের ওপর সম্পন্ন করা একটি গবেষণায় প্রথমবার দেখা গেছে যে, ওমেগা- ৩ উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ, বীজ এবং বাদাম যেমন ফ্ল্যাক্সসিড এবং আখরোট।

এইচএন