পুষ্টি-গুণের দিক দিয়ে পেয়ারা বেশ উপকারী। পেয়ারার মতন এমন ফল খুব কমই রয়েছে পরিবেশের মধ্যে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর পেয়ারা একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়।

শুধু পেয়ারা নয়। পেয়ারার পাতার মধ্যেও রয়েছে উপকার। মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এই পেয়ারা পাতা।

পেটের সমস্যা হলে পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে ওই জল পান করলে উপকার পাওয়া যায় সহজে। এছাড়া কচি পেয়ারা পাতাও চিবিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

পেয়ারা পাতার পানি খেলে রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য কচি পেয়ারা পাতা দারুণ উপকারী। পেয়ারা পাতায় থাকা ফেনোলিক সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

পেয়ারা পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এই ফাইবার বিপাকীয় হার বাড়াতে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। এছাড়া ওজনও কমায়।

ত্বকেরও যত্ন নিতেও পেয়ারা পাতা দারুণ উপকারী। এই পাতার মধ্যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এটি ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে এবং দাগছোপ দূর করে।

চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও পেয়ারা পাতা উপকারী। চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এই পাতা। পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে ওই পানি মুখে ও চুলের গোড়ায় স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়।

এসএম