প্রতিদিনের নানা মানসিক চাপ, দূষণ ইত্যাদি আমাদের চেহারায়ও প্রভাব ফেলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার ছাপ পড়ে আমাদের চেহারায়। তবে এমন অনেকে আছেন যাদের বয়স বাড়লেও চেহারায় তার প্রভাব পড়ে কম। এর পেছনে জেনেটিক্স ভূমিকা রাখলেও আরেকটি বড় কারণ রয়েছে। সেটি হলো প্রতিদিনকার অভ্যাস। সাধারণত এ ধরনের মানুষেরা এমন কিছু অভ্যাসে অভ্যাস্ত থাকেন যেগুলো তাদের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে-

১. সানস্ক্রিন ব্যবহার

আবহাওয়া যাই হোক না কেন, সানস্ক্রিন দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ হওয়া উচিত। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে, যার ফলে বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা এবং বয়সের দাগ দেখা দেয়। এমন একটি সানস্ক্রিন লাগান যা আপনার ত্বকের প্রকারের সঙ্গে মানানসই। প্রতিদিন সকালে অন্তত এসপিএফ সহ এমন সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন, এমনকি মেঘলা দিনেও। বাইরে থাকার সময় প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর পুনরায় প্রয়োগ করার অভ্যাস তৈরি করে নিন। এই পদক্ষেপটি ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

২. ঘন ঘন মুখ ধোয়া

তারুণ্যের উজ্জ্বলতার জন্য ত্বক পরিষ্কার রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন দুইবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। একবার সকালে মাইল্ড ক্লিনজার দিয়ে এবং আরেকবার শোবার আগে, এর মানে এই নয় যে আপনি দিনের মাঝখানে আর মুখ ধুতে পারবেন না। ঘেমে গেলে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সারা দিন ত্বককে সতেজ এবং হাইড্রেট করতে আপনার মুখে পানি ছিটিয়ে দিন। এটি ময়লা এবং তেল অপসারণ করতে সাহায্য করে, ত্বককে শ্বাস নিতে দেয় এবং ব্রেকআউট প্রতিরোধ করে, যা ত্বকে তারুণ্য বজায় রাখে।

৩. বরফ-পানি ব্যবহার

বরফ-ঠান্ডা পানিতে মুখ পরিষ্কার করলে দিলে তা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে! এই অভ্যাস রক্তসঞ্চালনকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে এবং ছিদ্রকে শক্ত করে। আপনার মুখে বরফ পানি ব্যবহারের চেষ্টা করুন বা বরফ পানিতে একটি কাপড় ভিজিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য আপনার মুখে রাখুন। এই রিফ্রেশিং অভ্যাস আপনার বর্ণকে উজ্জ্বল করতে এবং আপনাকে উজ্জীবিত রাখতে সাহায্য করতে করবে। তবে কখনোই খালি বরফ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করবেন না।

৪. নিয়মিত চেকআপ

আপনি কতটা সুস্থ থাকবেন তা আপনার বয়সের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই স্তরগুলো নিয়মিত পরীক্ষা এবং ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করলে কোন ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি তা বুঝতে পারবেন। ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন মাংসে পূর্ণ সুষম খাদ্য আমাদের সুস্থতা ও ত্বকের তারুণ্য নিশ্চিত করে।

৫. সুস্থ মস্তিষ্ক-উদ্দীপক গেম খেলুন

মস্তিষ্ক-উদ্দীপক ক্রিয়াকলাপ কেবল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, সেইসঙ্গে এগুলো আমাদের কম বয়সী দেখতেও সহায়তা করতে পারে! মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং গেম খেলা, যেমন সুডোকু, পাজল বা এমনকি একটি নতুন ভাষা বেছে নেওয়া আমাদের তীক্ষ্ণ থাকতে এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। সক্রিয় মন বজায় রাখলে তা আপনার মুখে প্রকাশ পাবে। আপনাকে আরও প্রাণবন্ত লাগবে।

এইচএন