বমি কিংবা বমি বমি ভাব এমন এক সমস্যা যা আমাদের খুবই পরিচিত। এটি যে কারও, যেকোনো সময়ে দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় দ্রুত প্রতিকার পেতে চাইলে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের খাবারের দিকে। আপনার যদি বমি কিংবা বমি বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেয় তবে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বমির সমস্যায় কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন-

১. ভাজা বা চর্বিযুক্ত খাবার

পেট খারাপ হলে ভাজা বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এই খাবারগুলো হজম করা পেটের পক্ষে কঠিন, যা বমি বমি ভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আল্ট্রাসাউন্ড ইন্টারন্যাশনাল ওপেনে প্রকাশিত একটি ২০১৯ সালের সমীক্ষা অনুসারে, ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার পেটে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থেকে আরও বেশি চাপ দেয়। তাই বমির সমস্যা দেখা দিলে এ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

২. ডেইরি ফুড

দুধ আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি প্রয়োজনীয় নাম। কিন্তু, এটি বমি বমি ভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। দুধ, পনির, দই এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্য পেটের আস্তরণে জ্বালাতন করতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার বমি বমি ভাব দেখা দেয়। যদি আপনার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে তাহলে এটি হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তবে।

৩. মসলাদার খাবার

বমির সমস্যায় এড়িয়ে চলতে হবে মসলাদার খাবারও। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে পেটের আস্তরণটি স্ফীত হয় এবং মসলাদার খাবার এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যে কারণে বমি হতে পারে এবং আপনার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আপনি যদি মসলাদার খাবার পছন্দ করেন তবে পেট স্থির না হওয়া পর্যন্ত আপনার প্রিয় খাবারগুলোকে একপাশে রেখে দেওয়াই ভালো।

৪. ক্যাফেইন

বমি বমি ভাব মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকতে হবে। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়-কোমল পানীয়, চা এবং কফি-আপনার শরীরকে পানিশূন্য করতে পারে, যার ফলে বমি বমি ভাব আরও বেশি হতে পারে। নিউট্রিয়েন্টস-এ প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা অনুসারে, পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণে কফির প্রতিক্রিয়া বমি বমি ভাব সহ বিভিন্ন হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৫. অ্যাসিডিক খাবার

উচ্চ অ্যাসিডযুক্ত খাবার যেমন সাইট্রাস ফল, টমেটো বা ভিনেগার-ভিত্তিক মসলা, আপনার পেটের আস্তরণকে জ্বালাতন করতে পারে এবং বমি বমি ভাব আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই খাবারগুলো আপনার পাকস্থলীতে আরও অ্যাসিড তৈরি করতে পারে, যার ফলে অস্বস্তি এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং, আপনি যদি অস্বস্তি বোধ করেন তবে কিছু সময়ের জন্য অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। 

এইচএন