উচ্চ রক্তচাপ আরও অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। যেমন স্ট্রোক বা হৃদরোগের মতো মারাত্মক অসুখের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে। তাই এই সমস্যা থাকলে সতর্ক হোন। নিয়মিত রক্তচাপ মেপে দেখুন। রক্তচাপ বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ৬টি করণীয়-

খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খেতে হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, সবজি ও ফল। কমান স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ। খাবারের একটি নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করুন। প্রতিদিন কী খাবার, কতটুকু খাচ্ছেন তার হিসাব রাখুন। কোনো খাবার কেনার সময় তার ভেতরে কোন উপাদান কতটুকু আছে তা ভালোভাবে দেখে কিনুন। খাবারের ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ জেনে নিন। সেইসঙ্গে বাদ দিন ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস।

শরীরচর্চা করুন নিয়মিত

শরীরচর্চার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের। প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা শরীরচর্চার পেছনে ব্যয় করলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। শরীরচর্চার ক্ষেত্রে হাঁটা, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার হতে পারে ভালো উপায়। লকডাউনে এসব কাজ সম্ভব না হলে বাড়িতেই সেরে নিন ব্যায়াম। ইউটিউবে এ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। সেখান থেকে সাহায্য নিয়ে করতে পারেন শরীরচর্চা।

নিয়ন্ত্রণে রাখুন ওজন

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। সেজন্য জেনে নিন আপনার বিএমআই এর মাত্রা। বয়স, উচ্চতাসহ আরও কিছু শারীরিক লক্ষণ অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উত্তম তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন। সেই ওজন ধরে রাখার চেষ্টা করুন। ওজন বেড়ে যাচ্ছে মনে হলেই তা কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

অতিরিক্ত লবণ নয়

উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম সহযোগী হলো লবণ। তাই এই সমস্যা এড়াতে চাইলে কমাতে হবে লবণের পরিমাণ। প্রতিদিন পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া চলবে না। বাড়িতে রান্নার সময় লবণ কমানোর পাশাপাশি বাইরে থেকে কিনে আনা খাবারে লবণের পরিমাণ জেনে নিন। যে খাবারটি কিনছেন তার প্যাকেটের গায়ে উপাদানের পরিমাণ উল্লেখ করা থাকলে তা ভালোভাবে পড়ে কিনুন। সব ধরনের প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন। অনেক মুখরোচক খাবার বা ফাস্টফুডে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। সেগুলো বাদ দিন।

মানসিক চাপ কমাতে হবে

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে কমাতে হবে মানসিক চাপ। নিয়মিত মেডিটেশন এবং নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন। যা কিছু আপনার উদ্বেগের কারণ হতে পারে সেসব এড়িয়ে চলুন। হতাশা আসতে দেওয়া যাবে না। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। যেসব কাজ করলে মন থাকে সেসব করার চেষ্টা করুন। শখের কাজ করতে পারেন। এতে দূর হবে উদ্বেগ।

এইচএন/এএ