আমরা প্রতিদিন যা করি, সেগুলোই আমাদের অভ্যাস। ভালো অভ্যাস যেমন শরীর ও মনের জন্য সুফল বয়ে আনে তেমনই খারাপ অভ্যাস নিয়ে আসে ক্ষতি। আমাদের এমনকিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলো আসলে ক্ষতিকর। কিন্তু আমরা সচেতন থাকি না বলে তা টের পাই না। যখন এর ক্ষতিকর দিক প্রকাশ হতে থাকে ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। তাই আগেভাগে সচেতন হওয়া জরুরি। সেসব অভ্যাস ত্যাগ করে ভালো অভ্যাস গড়ে নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার কোন অভ্যাসগুলো ক্ষতিকর-

১. স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া

আপনি যা খান তা সরাসরি শক্তির মাত্রা, মেজাজ এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। জাঙ্ক ফুড লোভনীয় হতে পারে, তবে এই খাবারের ওপর নির্ভর করার ফলে পুষ্টির ঘাটতি, ওজন বৃদ্ধি এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। শাক-সবজি, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত সুষম খাদ্য সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

২. ত্বকের যত্নে অবহেলা

ত্বকের যত্ন নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ এবং ক্ষতিকারক উপাদানের বিরুদ্ধে একটি বাধা হিসাবে কাজ করে। সানস্ক্রিন এড়িয়ে যাওয়া, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা এবং সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার না করা অকাল বার্ধক্য, শুষ্কতা এবং এমনকী ত্বকের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

৩. অসময়ে খাওয়া

অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। মধ্যরাতের পরে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা বা খাবার বাদ দেওয়া বিপাক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে। এই অভ্যাসের ফলে পেটের সমস্যা হতে পারে এবং সম্ভাব্য ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। সামঞ্জস্যপূর্ণ খাবার সময় বজায় রাখুন। এটি আপনার শক্তির মাত্রা এবং স্বাস্থ্যকর বিপাক রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করবে।

৪. ভুলভাবে বসা

আমাদের বসার ভঙ্গির ওপরেও অনেককিছু নির্ভর করে। ভুল ভঙ্গিতে বসলে তা কেবল ব্যাক পেইনেরই সৃষ্টি করে না, সেইসঙ্গে এটি মেজাজ, শক্তি এবং আত্মবিশ্বাসকে প্রভাবিত করে। ধীরে ধীরে এটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং এমনকী হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে। এই দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করার জন্য প্রত্যেকেরই সঠিকভাবে বসা এবং দাঁড়ানো নিশ্চিত করতে হবে।

৫. মানসিক চাপ দূর না করা

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ একটি নীরব ঘাতক। এটি কর্টিসলের মাত্রা বাড়ায়, ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে এবং হৃদরোগ ও বিষণ্ণতার মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ধ্যান বা শারীরিক ব্যায়ামের মতো স্ট্রেস-রিলিফ অনুশীলন করার অভ্যাস মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারে।

এইচএন