কথায় বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে। এটি একটি বাগধারা হলেও দাঁতের ক্ষেত্রেও পুরোপুরি সত্যি। কারণ দাঁত একবার নষ্ট হতে শুরু করলে তখন প্রতিদিন ডাক্তারের কাছে দৌড়েও মুক্তি পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। তাই দাঁতের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় বেশ কার্যকরী হতে পারে। কারণ ঘরোয়া উপায়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁত ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়-

পুদিনা চা

পুদিনা চা দাঁতের ব্যথাকে আরাম দেয়। এছাড়াও এটি শীতল এবং সতেজ, যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং এর নিজেরই প্রশান্তিদায়ক প্রভাব রয়েছে। একটি পিপারমিন্ট টি ব্যাগ গরম পানিতে ভিজিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। প্রায় ১৫-২০ মিনিটের জন্য ব্যথাযুক্ত দাঁতের উপর টি ব্যাগটি রাখুন। আপনি এটি ফ্রিজে ঠান্ডা করে রাখতে পারেন এবং একই প্রভাব সহ ঠান্ডা ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রতিকারের মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র ব্যথার চিকিৎসাই করতে পারবেন না বরং আপনার মুখে একটি সতেজ স্বাদও দিতে পারবেন।

পেয়ারা পাতা

পেয়ারা পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য তাকে দাঁতের ব্যথা নিরাময়ের জন্য একটি দুর্দান্ত ওষুধ করে তোলে। এই পাতা মুখের স্বাস্থ্য এবং ব্যথার সমস্যা সমাধানে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। তাজা পেয়ারা পাতা ধুয়ে চিবিয়ে নিন। অথবা পেয়ারা পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন। এই ওষুধটি মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির সমস্যা উভয়ই দূর করে।

পেঁয়াজ

পেঁয়াজে থাকা সালফার যৌগ এর ভেতরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ ধারণ করে। সালফার যৌগ প্রদাহ বিরোধী এবং জীবাণুকে হত্যা করে, দাঁতের ব্যথা থেকেও আরাম দেয়। ছোট আকারের কাঁচা পেঁয়াজ কেটে নিন। এটি সরাসরি আক্রান্ত দাঁতে রাখুন বা ধীরে ধীরে চিবিয়ে নিন। পেঁয়াজের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ কমিয়ে দেয় এবং ধীরে ধীরে ব্যথা কমায়।

হিং

হিং এমন একটি ওষুধ যা দাঁতের ব্যথা এবং মাড়ি সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি একটি প্রদাহ-বিরোধী এজেন্ট হওয়ায়, দাঁতের ব্যথা উপশম করার জন্য এটি একটি ভালো ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। তাই দাঁত ভালো রাখতে হিং ব্যবহার করতে পারেন।

এইচএন