হৃদরোগ জীবনযাপনের পরিবর্তন এবং সক্রিয় স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য। সাধারণ ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বয়স, পারিবারিক ইতিহাস, জাতি এবং লিঙ্গ। তবে এই কারণগুলো চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এদিকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণের মধ্যে রয়েছে খারাপ খাদ্য, ব্যায়ামের অভাব, ধূমপান, অত্যধিক মানসিক চাপ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে করণীয়

স্বাস্থ্যকর ডায়েট: ফল, সবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবারের দিকে মনোযোগ দিন। এ ধরনের খাবার আপনাকে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মাঝারি-তীব্র ব্যায়ামের লক্ষ্য রাখুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা হৃদরোগ সহ আরও অনেক রোগ থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে। পাশাপাশি কাজে আরও বেশি মনোযোগী হতে পারবেন। কারণ এই অভ্যাস আমাদের শরীরকে সচল রাখতে কাজ করে।

ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান উল্লেখযোগ্যভাবে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই পরিহার করুন। পাশাপাশি অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে তাও বাদ দিন।

স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন: ধ্যান, যোগব্যায়াম বা গভীর শ্বাসের মতো স্ট্রেস-কমানোর কৌশলগুলো চর্চা করুন। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগসহ অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকাই সহজ হবে।

রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন: নিয়মিত চেকআপ এবং ওষুধ এই এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই এদিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

ব্লাড সুগার মনিটর করুন: আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যকর রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। যে কারণে দূরে থাকবে হৃদরোগ সহ আরও অনেক অসুখ।

কখন মেডিকেল এটেনশন চাইতে হবে

আপনি যদি এই উপসর্গগুলোর মধ্যে কোনটি অনুভব করেন, বিশেষ করে যদি সেগুলো অব্যাহত থাকে বা ঘন ঘন হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা অপরিহার্য। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা উল্লেখযোগ্যভাবে ফলাফল আনতে পারে এবং জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে।

এইচএন