করোনাকালের ঈদ। এই ঈদ অন্যান্য ঈদের মতো আনন্দ নিয়ে আসেনি। অনেকেই প্রিয়জন হারানোর বেদনায় ভারাক্রান্ত, মহামারির সংক্রমণের ভয়ে উদ্বিগ্ন, আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তিত। তবু সময়ের নিয়মে উৎসবের দিন আসে। ভাইরাস চেনে না উৎসব, চেনে না আপনজন। তাই এসময় সচেতন থাকাই সবার আগে জরুরি। ঈদের দিনটিতে সাধারণত আত্মীয়-পরিজনের বাড়িতে বেড়ানো হলেও এই ঈদে সেসব থেকে দূরে থাকুন। কারণ আপনার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে আপনার প্রিয়জন। অথবা তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন আপনি। ঈদের দিন কীভাবে কাটাতে পারেন চলুন জেনে নেওয়া যাক-

বাড়িতে থাকুন
এই সময়ে যত বেশি বাড়িতে থাকা যায় ততই ভালো, তা জেনে গেছেন নিশ্চয়ই। সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে যতটা সম্ভব বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন। তাই ঈদের দিনেও চেষ্টা করুন বাড়িতে থাকার। কেউ দাওয়াত করলে তাকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলুন কেন আপনার আসা সম্ভব না। পাশাপাশি তাদেরও সচেতন করুন। যার যার বাড়িতে থেকে ঈদের ছুটি কাটানোর পরামর্শ দিন।

ভিডিও কল
অনেকেরই এবার প্রিয়জনের কাছে ফেরা হবে না। তাই বলে মন খারাপ না করে ভিডিও কলে তাদের সঙ্গে কথা বলুন। প্রিয় মুখগুলো দেখলে একটু হলেও মন ভালো হবে। যাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ কম হয়, সেইসব আপনজনেরও খোঁজ নিন। 

রান্না
রান্নার কাজটি বাড়ির যেকোনো একজনের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নিন। এতে কষ্ট কম হবে। পরিবারের সদস্যদের পরস্পরের প্রতি আন্তরিকতা বাড়বে। আবার ঈদের দিন বাসায় বসে বিরক্ত হতে হবে না। রান্নার কাজে সময় কেটে যাবে। বাড়িতে অতিথি না এলেও নিজেদের জন্য বিশেষ খাবার রান্না করুন। সুন্দরভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে পরিবেশন করুন।

পছন্দের কাজ
ঈদের দিনটি সুন্দরভাবে কাটাতে করতে পারেন পছন্দের কোনো কাজ। যেকোনো সৃজনশীল কাজ এই দিনকে আরও সুন্দর করে তুলবে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটাতে পারেন। পরিবারে বেশি সদস্য থাকলে ছোটখাটো সৃজনশীল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। এভাবে মহামারির আশঙ্কা দূরে রেখে নিজেদের মতো সুন্দর একটি দিন কাটাতে পারেন। 

বিশ্রাম
যদি নিজেকে খুব বেশি ক্লান্ত মনে হয় তবে ঈদের দিনটি বিশ্রাম নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন। এতে দোষের কিছু নেই। অনেকে আছেন যারা অসুখ থেকে কেবলই সেরে উঠেছেন। তাদের এখন পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার। তাই ঈদের ছুটিতে তারা কিছুটা বিশ্রাম পেতে পারেন। 

এইচএন/এএ