ইমম্যাচিওর সঙ্গীর সাথে থাকা মানে নিজের মানসিক সুস্থতার ওপর ক্রমাগত আঘাত করতে থাকা। যিনি যথেষ্ট দায়িত্বশীল নন তিনি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে অপ্রয়োজনীয় সমস্যা তৈরি করতে পারেন এবং স্ত্রীর কাছ থেকে অবাস্তব প্রত্যাশা করতে পারেন। এরকম একটি সম্পর্কে সঙ্গীর কাছ থেকে মসৃণ জীবনযাত্রা আশা করা সম্ভব নয়। এই ধরনের একজন সঙ্গী জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে অবমূল্যায়ন করতে পারে বা তার নিজস্ব সমস্যার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত চাপ দিতে পারে। আপনার স্বামীও কি এমন? মিলিয়ে নিন-

১. আপনার সমস্যা তার চোখে পড়ে না

সব নারীই একজন মানসিকভাবে পরিপক্ক স্বামী প্রত্যাশা করেন, যে কঠিন পরিস্থিতিতে তার পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু স্বামী যদি ইমম্যাচিওর হয় তাহলে সে আপনার পরিস্থিতি বুঝতে ব্যর্থ হবে এবং অযৌক্তিক উপায়ে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আপনি যখন তার কাছে অন্তত মানসিক সমর্থন আশা করেন তখন তার ভেতরে ক্ষেপে যাওয়ার প্রবণতা দেখতে পাবেন।

২. চিন্তা না করে কাজ করে

আমরা সবাই মাঝে মাঝে আবেগপ্রবণভাবে কাজ করি, কিন্তু আপনার সঙ্গী যদি ক্রমাগত চিন্তা না করে কাজ করে, ফলাফল নিয়ে না ভেবে, কেবল ক্ষতিকর সিদ্ধান্তই গ্রহণ করতে থাকে তবে বুঝে নেবেন সে একজন ইমম্যাচিওর ব্যক্তি। এটি তাকে সমস্যায়েই ফেলে না, সেইসঙ্গে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পছন্দ করার জন্য আপনার মনে অনুশোচনার সৃষ্টি করে।

৩. সঠিকভাবে কথা বলে না

সঠিকভাবে কথা বলতে পারা একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূল মন্ত্র। সঙ্গীর সঙ্গে নিজের সব ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি সে নিজের কথাগুলো আপনাকে না বলে অথবা আপনার কথাগুলো বলতে গেলে বিরক্ত হয় তাহলে বুঝে নেবেন তার ভেতরে ম্যাচুরিটি নেই। এটি দীর্ঘমেয়াদে আপনার সম্পর্কের জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে।

৪. আপনার কথায় মনোযোগ দেয় না

আমরা সবাই এমন একজন সঙ্গী চাই যে আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং আমাদের গল্পে বিরক্ত হবে না। আপনার স্বামী যদি আপনার কথা মনোযোগ সহকারে না শোনে বা আপনাকে মাঝে মাঝে বাধা দেয় তাহলে কি সেটি বিরক্তিকর নয়? এটিও একটি ইমম্যাচুরিটির লক্ষণ।

৫. ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী

আবেগপ্রবণ হওয়াটা কখনো কখনো মজার হতে পারে, যেমন হুটহাট ভ্রমণে যাওয়া। কিন্তু আপনার ক্যারিয়ারে বা আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদি আপনার স্বামী প্রায়ই সম্পর্কের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এটি তার ইমম্যাচুরিটির স্পষ্ট লক্ষণ।

এইচএন