করোনাভাইরাস সংক্রামক ব্যাধি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আনার জন্য আদা জল খেয়ে লেগে থাকে। চিকিৎসকরা বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অধিকাংশ রোগী ফুসফুসে ব্যথা অনুভব করে থাকেন। 

করোনাভাইরাসের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস।

ফুসফুসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ৭টি উপসর্গ সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো। চলুন জেনে আসা যাক- 

১. বুক ও ফুসফুসে ব্যথা 

ফুসফুস শ্বাসপ্রশ্বাস পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন, অধিকাংশ কোভিড-১৯ রোগীর ফুসফুসে সমস্যা হয়ে থাকে। করোনাভাইরাস ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লে রোগী বুক ও ফুসফুসে ব্যথা অনুভব করে থাকেন। এটি গুরুতর উপসর্গ। কারণ ফুসফুসে করোনাভাইরাস ছড়ানোর মূল কারণ এখনও অজানা। 

২. হালকা থেকে গুরুতর কাশি

মেদান্ত ফুসফুস ফাইব্রোসিসের চিকিৎসক অরবিন্দ মোহনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাস হালকা থেকে গুরুতর কাশি হতে পারে। কোভিড নিউমোনিয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জন হপকিন্স মেডিসিনের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ফুসফুসে প্রদাহ কোভিড-১৯ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ার নিদর্শন। 

৩. বিরতিহীন কাশি

বিরতি না দিয়ে কাশি ফুসফুসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আরেকটি উপসর্গ। দুই-তিন সপ্তাহ ধরে এমন কাশি চলতে থাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। 

৪. শ্বাস নিতে অসুবিধা ও অবসাদগ্রস্ততা

শ্বাস নিতে অসুবিধা ও অবসাদগ্রস্ততা করোনাভাইরাস এর অন্যতম উপসর্গ। ফুসফুসের মাধ্যমে যেহেতু মানুষ শ্বাস নিয়ে থাকে তাই ফুসফুসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। 

৫. শ্বাসকষ্ট

ফুসফুসে সমস্যা অথবা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোম (এআরডিএস) ফুসফুসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম উপসর্গ। স্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট থেকে কোভিড-১৯ হতে পারে। 

৬. অন্য কোনো রোগের সংক্রমণ

অন্য কোনো রোগের সংক্রমণেও করোনাভাইরাস হতে পারে। সর্দিকাশিসহ ছোটখাট রোগ করোনাভাইরাস নিয়ে আসতে পারে। নির্দিষ্ট উপসর্গ যেহেতু নেই সেহেতু স্বাভাবিক জ্বরও হতে পারে করোনাভাইরাসের উপসর্গ। 

৭. শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ব্যথা

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ব্যথা থেকেও করোনাভাইরাস হতে পারে। যেমন শিরা-উপশিরায় ব্যথা করলেও তা করোনাভাইরাসের কারণ হতে পারে। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ব্যথাও হতে ফুসফুসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার লক্ষণ। 

এইচএকে /এইচএন