অবশিষ্ট খাবার এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন- এই দুইয়ের সঙ্গে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বিশেষ করে যখন আপনি তাড়াহুড়া করেন। দ্রুত লাঞ্চ বা ঝটপট খেয়ে নেওয়ার জন্যই হোক না কেন, আপনাকে কেবল মাইক্রোওয়েভ ওভেনে অবশিষ্ট খাবারের একটি প্লেট রেখে গরম করতে হবে। এটি সম্ভবত কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার ক্ষুধা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি। 

স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্সে বিভিন্ন খাবার পুনরায় গরম করতে পারেন, তবে আপনার সমস্ত খাবার পুনরায় গরম করা উচিত নয়। কেন? মাইক্রোওয়েভে পুনরায় গরম করার জন্য সব খাবার ভালোভাবে সাড়া দেয় না। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা হলে সেগুলো হয় দূষিত হয়ে যায় বা শুকনো এবং স্বাদহীন হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঞ্চিত খাবারের ব্যাকটেরিয়া প্রোটিনকে আরও ভেঙে ফেলে, খাবারের পুষ্টিগুণকে মুছে দেয়। এর ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না-

১. ভাত

চালে ব্যাসিলাস সেরিয়াসের স্পোর থাকে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া যা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। ভাত রান্না করার সময় এই স্পোরগুলো বেঁচে থাকে এবং যদি ঘরের তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রাখা হয় তবে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে। তাই অবশিষ্ট ভাত দ্রুত ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে এবং আবার খাওয়ার আগে গ্যাসের চুলায় ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ভাত পুনরায় গরম করলে তা ব্যাসিলাস সিরিয়াসের বৃদ্ধি বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়, যা আরও স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যায়।

২. সেদ্ধ ডিম

মাইক্রোওয়েভ ওভেনে সেদ্ধ ডিম গরম করলেতো বিস্ফোরিত হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কার্সিনোজেনিক টক্সিন তৈরি করে। এছাড়াও এই প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং আঘাতের কারণ হতে পারে। আপনি যদি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে সেদ্ধ ডিম গরম করতে চান তবে ডিমটির গায়ে ছিদ্র করে দিন। এতে ফেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

৩. কফি

মাইক্রোওয়েভ ওভেনে কফি গরম করা সম্ভবত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এটা এখন বন্ধ করা উচিত। কেন? কারণ কফি ঠান্ডা হলে অ্যাসিডিক হয়ে যায়; এটিকে আবার গরম করলে অবশিষ্ট সুগন্ধ চলে যেতে পারে এবং কফিকে স্বাদহীন করে তুলতে পারে। আপনার কফি একটি থার্মো-ফ্লাস্কে সংরক্ষণ করুন এবং যখন পছন্দ করেন তখন এটি উপভোগ করুন।

৪. মুরগির মাংস

মাইক্রোওয়েভ ওভেন খাবারকে সমানভাবে গরম করতে ব্যর্থ হয়, যার অর্থ খাবারের কিছু অংশ অন্য অংশের তুলনায় দ্রুত গরম হয়। মুরগির মাংস তাই ওভেনে গরম না করা উত্তম। কারণ প্রোটিন যদি অসমভাবে ভেঙে যায়, তবে এটি পেট খারাপের কারণ হতে পারে এবং খাবারে বিষক্রিয়া হতে পারে।

৫. মাছ

মাইক্রোওয়েভ ওভেন আর্দ্রতা শুষে নেয়, যার অর্থ মাছ পুনরায় গরম করলে এর সমস্ত কোমলতা কেড়ে নিতে পারে, এটিকে শুষ্ক করে তোলে। এছাড়াও সামুদ্রিক খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করার সময় চর্বিযুক্ত তেল ভেঙে যেতে পারে, যা কটু গন্ধের কারণ হতে পারে।

এইচএন