ভিটামিন সি আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রাকৃতিক উৎসের মাধ্যমে সহজে পাওয়া যায়, তবুও অনেকের ভিটামিন সি এর অভাব হতে পারে কারণ এটি শরীরে সংরক্ষণ করা যায় না। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি এর কোনো না কোনো উৎস যোগ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে কী হয়-

প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়া

আপনি যদি প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে আপনাকে আপনার ভিটামিন সি গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ভিটামিন সি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ক্ষত নিরাময় এবং স্বাস্থ্যকর কোলাজেন গঠনকেও কাজ করে। ভিটামিন সি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ক্ষত সারতে দেরি হওয়া

যদি আপনার অস্ত্রোপচার, কাটা বা অন্যান্য ক্ষত থেকে নিরাময়ে সমস্যা হয়, তাহলে ভিটামিন সি গ্রহণ বাড়ানোর কথা বিবেচনা করতে পারেন। গবেষণা অনুসারে, অস্ত্রোপচারের পরে ভিটামিন সি-এর উচ্চ মাত্রা গ্রহণকারী রোগীদের অর্ধেকেরও বেশি তারা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ না করা রোগীদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। ভিটামিন সি স্বাস্থ্যকর কোলাজেন বৃদ্ধি করে। এটি একটি প্রোটিন যা ত্বককে মসৃণ রাখে। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি ব্যতীত শরীর পর্যাপ্ত নতুন কোলাজেন তৈরি করে না, যার কারণে অনেকের গালে এবং হাতে বলিরেখা পড়ে।

সবসময় ক্লান্ত লাগা

ক্লান্তি একটি ইঙ্গিত যে আপনার আরও ভিটামিন সি প্রয়োজন। আপনি যদি ক্রমাগত ক্লান্ত হয়ে থাকেন এবং আপনার খাদ্য বা জীবনযাপনে পরিবর্তন না করেন, তবে এটি আপনার শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা কম বা স্কার্ভির প্রাথমিক পর্যায়ের কারণে হতে পারে। তবে ক্লান্তির অনেক কারণ রয়েছে। তাই এ ধরনের সমস্যায় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে তবেই নিশ্চিত হোন।

ত্বকের সমস্যা

আপনি যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন সি না খান তবে ত্বকের কিছু স্পষ্ট পরিবর্তন দেখতে পারেন। শরীরে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত না থাকলে তা লাল বা বিবর্ণ ত্বকের কারণ হতে পারে। ক্ষতও দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে কনুইয়ের ভেতরে যেখানে ক্ষত সাধারণত থাকে না। আপনার মুখের কোণে শুষ্কতা এবং ফাটল দেখা দিতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে।

এইচএন