নিজেকে সুস্থ রাখতে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃভ্রমণের অভ্যাস অনেকের। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটিতে শরীর-মন দুই ভালো থাকে। তবে আপনি কি জানেন, সোজা হাঁটার থেকেও উল্টো‌ হাঁটলে মেলে বেশি ভালো ফল। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। পোশাকি ভাষায় একে বলে ‘রেট্রো ওয়াকিং’।

১। আমরা সামনে হাঁটতে অভ্যস্ত, পিছনে নয়। পিছনে হাঁটলে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু ঠিক করে হাঁটতে পারলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

২। পিছনে হাঁটলে পায়ের সঞ্চালন অন্যভাবে হয়। ফলে পায়ের পেশির জোর বাড়ে। তাতে পেশি মজবুত হয়।

৩। পিছনে হাঁটতে গেলে মস্তিষ্কের সঙ্গে সমন্বয় দরকার। ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা আরও বাড়ে।

৪। বয়স বাড়লে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। তবে ধীরে ধীরে উল্টো হাঁটার অভ্যাস করলে এই সমস্যা আস্তে আস্তে কমতে পারে।

৫। পিছনের দিকে হাঁটলে শক্তি ক্ষয় বেশি হয়। উল্টো‌ হাঁটলে ভারসাম্য রক্ষা শক্ত। ফলে একাধিক পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ওজন ঝরাতে চাইলেও এই অভ্যাস করতে পারেন।

৬। অস্থিসন্ধিতে অনেকের ব্যথা ও সমস্যা থাকে। উল্টোদিকে হাঁটলে হাঁটু বা অস্থিসন্ধিতে তুলনায় কম চাপ পড়ে।

তবে মনে রাখবেন শুনতে যতটা সোজা, আসলে কাজটা কিন্তু বাস্তবে এতটা সোজা নয়। আস্তে আস্তে পিছনের দিকে হাঁটা অভ্যাস করুন। বড় কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে বড় খোলা জায়গায় প্রথমে এইভাবে হাঁটুন।

পিএইচ/পিএইচ