ভালো ঘুমের জন্য রাতে যা খাবেন
প্রতি রাতে ঘুমের জন্য আপনাকে লড়াই করতে হয়? আমরা সবাই ব্যস্ত দিনের পর বিছানায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু অনেকের জন্যই তা অধরা। তারা কেবল বিছানায় শুয়ে চোখ মেলে ঘুম আসার অপেক্ষায় থাকি। অনিদ্রা একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকে ঘুমের সমস্যায় ভোগে যেমন স্লিপ অ্যাপনিয়া বা অনিদ্রা, যা অন্যান্য স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যার কারণ হতে পারে। ঘুম ভালো না হলে শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
এমন অনেক খাবার রয়েছে যা আপনাকে ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করতে পারে। সেসব খাবার ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেলে ঘুম নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। তবে ভারী কোনো খাবার নয়, খেতে হবে পানীয়। সব ধরনের পানীয় নয়, কিছু নির্দিষ্ট পানীয় ভালো ঘুমের জন্য কার্যকরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ভালো ঘুমের জন্য রাতে কী খাবেন-
বিজ্ঞাপন
১. হালকা গরম দুধ
গরম দুধ ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করতে পারে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনিদ্রার একটি বড় কারণ। দুধে ক্যালসিয়াম থাকে এবং সেরোটোনিন নামক একটি যৌগও থাকে, যা মনে শান্তি ও শিথিলতা আনে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম দুধ পান করার অভ্যাস করুন।
২. ডাবের পানি
মেডিকেল হাইপোথিসিস জার্নালে ২০০৬ সালে করা একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হতাশা এবং উদ্বেগের কারণ হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকায় ডাবের পানি খেলে তা মনকে শান্ত করে।
আরও পড়ুন
৩. ব্যানানা শেক
কলায় প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের পাশাপাশি ট্রিপটোফ্যান রয়েছে, একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড যা ঘুম-প্ররোচিত যৌগ, সেরোটোনিন তৈরি করে। কলা এবং দুধ মেশান, এতে চিনি বা মধু যোগ করুন। এবার ভালো ঘুমের জন্য এই সুস্বাদু পানীয় পান করুন।
৪. বাদাম এবং জাফরান দুধ
বাদামের দুধে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি রয়েছে যা স্ট্রেস এবং টেনশন কমাতে পরিচিত। ঠান্ডা বা উষ্ণ বাদাম দুধে জাফরানের কয়েকটি পাপড়ি যোগ করুন। এটি দুধের স্নায়ু-নিয়ন্ত্রক বৈশিষ্ট্য বাড়িয়ে তুলবে।
৫. ক্যামোমাইল চা
ক্যামোমাইলে প্রাকৃতিকভাবে ফ্ল্যাভোনয়েড এপিজেনিন নামক একটি প্রশান্তিদায়ক উপাদান থাকে যা মনকে আরাম দেয় এবং গভীর ঘুমের দিকে নিয়ে যায়।
মনে রাখবেন যে ক্যাফিনযুক্ত পানীয়, অ্যালকোহল এবং চিনিযুক্ত পানীয় শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে যার ফলে ঘুমানো কঠিন হয়। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন। শান্তিপূর্ণ ঘুমের সময় আপনার শরীরকে রিচার্জ করতে উপরে উল্লিখিত পানীয়গুলো নিয়মিত পান করুন।
এইচএন