আপনি কি ইদানিং পেটের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন? আপনি কি প্রতিদিন সকালে ওয়াশরুমে ঘণ্টাখানেক কাটিয়ে দিচ্ছেন? পেটের অস্বস্তি কি আপনাকে সারাদিন বিরক্ত করে? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে প্রিয় পাঠক, এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। পেটের একটি প্রধান সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। সহজ কথায় বলতে গেলে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অন্ত্রের নড়াচড়া খুব কম হয় এবং মল বের করা খুব কঠিন হয়ে যায়। যার ফলে পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, এমনকি কখনও কখনও শরীরে ঠান্ডা এবং কাঁপুনি দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের অনেক কারণ থাকতে পারে, আমরা এখানে সমাধান জানবো।

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বেছে নিতে পারেন বিশেষ চা। সাধারণ এক কাপ লাল চা আর তার সঙ্গে মাত্রা এক চামচ ঘি। হ্যাঁ আপনি যে ঠিক পড়েছেন! পুষ্টিবিদ এবং ম্যাক্রোবায়োটিক প্রশিক্ষক শিল্পা অরোরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমাধানটি শেয়ার করেছেন।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ কী? কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবেলা করার সেরা উপায় কী?

কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণত ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, PCOD, বা অনিয়মিত ঘুমের চক্র সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঘটে। সাধারণত অপর্যাপ্ত পানি এবং ফাইবার গ্রহণ, ব্যায়ামের অভাব, অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া এবং অন্যান্য অনেক কারণে এটি ঘটে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের জটিলতার মধ্যে অস্বস্তি, পেট ফাঁপা, ব্যথা, মাথাব্যথা এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধও থাকতে পারে। সুতরাং, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারসাম্য বজায় রাখার সর্বোত্তম উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং জীবনযাপন বজায় রাখা।

কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া প্রতিকার: ঘি চা কীভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করতে পারে?

পুষ্টিবিদ শিল্পা অরোরার মতে, ঘি-মিশ্রিত লাল চা একটি পুরানো আয়ুর্বেদিক রেসিপি হিসাবে পরিচিত। যা অন্ত্রের সমস্যা প্রশমিত করতে রেচক হিসাবে কাজ করে।

কীভাবে ঘি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে?

ঘিকে বুট্রিক অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা অন্ত্রের বিপাককে উন্নত করে, মল চলাচলে সহায়তা করে। এটিতে লুব্রিকেটিং এবং হজমের বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা অন্ত্রের দেয়ালকে নরম করতে সাহায্য করে, উত্তরণ পরিষ্কার করে এবং স্বাস্থ্যকর অন্ত্র বজায় রাখে।

লাল চা কীভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে?

কিছু গবেষণা অনুসারে, লাল চা শরীরের নিউরোট্রান্সমিটার রেট বাড়াতে সাহায্য করে। অধিকন্তু, এর ক্যাফেইন উপাদান একটি উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে যা শারীরিক ক্রিয়াকলাপের গতি বাড়াতে পারে, অন্ত্রের গতিবিধিকে উদ্দীপিত করে।

এইচএন