ভোরের ঠান্ডা হাওয়া, নরম রোদ্দুর, শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটলে শুধু শরীর নয়, মনও ভালো থাকে। ভোরে চারপাশে শব্দ থাকে না সেভাবে। এসময় মনও শান্ত থাকে। তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করা, সকালে সময় ধরে পড়া ভালো অভ্যাস।

ঘুমের পর শরীর-মন তরতাজা থাকায় পড়াশোনাও ভালো হয়। কিন্তু অনেকেই বলবেন, এ তো জ্ঞানের কথা। অত সকালে উঠতে গেলে আলস্য চেপে বসে। তাহলে কী করে ভোরে ওঠার অভ্যাস তৈরি করবেন?

ঠিক সময়ে ঘুম

ভোরে বা সকালে উঠতে না পারার অন্যতম কারণ রাতে দেরিতে ঘুমানো। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল দেখা। যদি প্রতি রাতে ১টায় ঘুমাতে যান তাহলে সময় একটু একটু করে এগোতে হবে। প্রথম ধাপে ১২টার মধ্যে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। ঘুম না এলেও ১২টার আগেই ঘরে মৃদু আলো জ্বালিয়ে বা অন্ধকার করে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করতে সাহায্য করে এমন কোনো সুর চালিয়ে দিতে পারেন।

ঘড়ি ধরে ওঠা

সকাল ৯টায় ওঠার অভ্যাস থাকলে প্রথম দিনেই ভোর ৫টায় উঠতে গেলে কিছুতেই কাজ হবে না। ৯টার বদলে সাড়ে ৮টায় অ্যালার্ম দিন। মনকে বোঝাতে হবে, কিছুতেই অ্যালার্ম বন্ধ করে ঘুমানো যাবে না। এভাবে ধীরে রাতে শোবার সময় ও সকালে ওঠার সময় আধ ঘণ্টা করে এগিয়ে আনতে হবে। এক সপ্তাহ সাড়ে ৮টায় ওঠার অভ্যাস করার পরের সপ্তাহে ৮টায় উঠতে হবে। এভাবে ১৫ দিন কাটলে সময় আরও একটু এগোতে হবে।

হাঁটতে বের হওয়া

সাড়ে ৮টা মোটেই হাঁটতে যাওয়ার সময় নয়। তবুও যদি সেই সময় উঠে ছাদে যেতে পারেন বা বাজারে চলে যেতে পারেন তাহলে ধীরে ধীরে ভালো লাগা তৈরি হবে। ছাদে গিয়ে হালকা ব্যায়ামও করে নিতে পারেন। বাগান থাকলে গাছে পানি দিতে পারেন।

মোবাইল কিছু সময় দূরে রাখুন

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল নিয়ে বসে গেলে কিছুতেই ঘুম আসবে না। বরং মোবাইলে কোনো গল্প শুনতে পারেন কিংবা শোবার আগে বই পড়তে পারেন। আরামদায়ক পোশাক পরে ঘুমাতে যান। এ বিষয়গুলোও ঘুম আনতে সাহায্য করে।

বন্ধুবান্ধব

বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে যদি সকালে কয়েকদিন সাইকেল নিয়ে ঘোরার পরিকল্পনা করেন তাহলে দেখবেন উঠতে এত কষ্ট হচ্ছে না। যে কাজে আনন্দ থাকে সেই কাজের জন্য সহজেই অভ্যাস বদলে যায়। অভ্যাস বদলে প্রাপ্তি কী হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। না হলে কাজ হবে না।

এসএসএইচ