প্রত্যেকে তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে অসম্মান এবং অপমানের মুখোমুখি হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় এ ধরনের আচরণ কাছের মানুষেরাই করে থাকে। আপনি কি কখনও অপমানিত হয়েছেন এবং পরিস্থিতি কীভাবে সামলে নেবেন তা বুঝতে পারছিলেন না? এই ধরনের কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া দেখানো কঠিন হতে পারে। মনোবিজ্ঞান থেকে সহজ পদ্ধতি এবং কৌশল অবলম্বন করে আত্মসম্মান রক্ষা করা যেতে পারে। এসময় শান্ত, আত্মবিশ্বাসী এবং স্থির থাকার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি সামলে নিতে পারেন। মনোবিজ্ঞান অনুসারে কিছু সেরা কৌশল জেনে নিন-

দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না

যখন কেউ আপনাকে অপমান করে তখন আপনার রাগ, আঘাত বা হতাশা প্রকাশ না করা এবং প্রতিক্রিয়া না দেখানো গুরুত্বপূর্ণ। আপনার দ্রুত প্রতিক্রিয়া তাদের শক্তি এবং সন্তুষ্টি দিতে পারে। এর পরিবর্তে শান্ত এবং সংযত থাকুন। শ্বাস নেওয়ার জন্য একটি মুহূর্ত নিন এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে সাবধানে চিন্তা করুন। এই পদ্ধতিটি আপনাকে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা এড়াতে সাহায্য করবে এবং এমন কিছু বলতে বাধা দেবে যার জন্য পরে অনুশোচনা করতে হয়।

তাদের ভুল বুঝতে সময় দিন

যিনি অসম্মান বা অপমান করলেন তাকে একই কাজ আরেকবার করতে বলুন। এটি সাধারণত তাকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে। এক্ষেত্রে সে হয়তো বলতে পারে যে ঠাট্টাচ্ছলে এমনটা বলেছে। একই কাজ যদি সে আবারও করে থাকে তাহলে মনে মনে নিজের অপরাধটা বুঝতে পারবে। তাই নিজের আচরণটা যে ঠিক নয় একথা বোঝার জন্য তাকে সময় দিন।

নিজের গায়ে মাখাবেন না

কেউ আপনাকে অপমান করলে কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক কিন্তু মনে রাখবেন যে তাদের এই আচরণ আসলে হীনমন্যতা থেকেই আসে। আপনার মূল্য অন্যরা যা বলে তা দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয় না। আপনার শক্তির দিকে মনোযোগ দিন এবং ইতিবাচক সঙ্গ বেছে নিন। আপনি তাদের কথা দ্বারা প্রভাবিত না হলে তাদের পুরো প্রচেষ্টাই বৃথা যাবে।

দৃঢ়ভাবে সাড়া দিন

আপনি যদি প্রতিক্রিয়া জানাতে চান, তাহলে শান্তভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা করুন। ক্রোধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরিবর্তে শান্তভাবে বলুন যে তার কথা কতটা অযৌক্তিক। এভাবে বললে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে না। বরং সে হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পারবে।

এইচএন